সিবিআইয়ের পর এবার ইডি,গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয়কে দিল্লিতে তলব
সিবিআইয়ের পর অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ময়ল পিঠকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই সপ্তাহেই সমন পাঠানো হয়েছে মলয়কে। দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বিক্রম দাস: গরু পাচার মামলায় স্বস্তি নেই অনুব্রত মন্ডলের। সিবিআইয়ের পর অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ময়ল পিঠকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই সপ্তাহেই সমন পাঠানো হয়েছে মলয়কে। দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মলয় পিঠকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হয়ত গরুপাচার কাণ্ডের কোটি কোটি টাকার লেনদেন সম্পর্কে সমস্ত আজানা তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলেই অনুমান করছেন আধিকারিকরা। এর আগেও একাধিকবার শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিটকে তলব করেছিল তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন, শীতকালীন অধিবেশনে CAA বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায়! প্রস্তুতি তৃণমূলের
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিঠকে আজই দিল্লিতে জিগাসবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ মলয় পিঠকে দিল্লিতে সমন করে ইডি। গরুপাচার কাণ্ডে সমন পাঠানোয় ইতিমধ্যেই দিল্লিতে হাজিরা দিয়েছেন মলয় পিঠ। সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরে একাধিক পলিটেকনিক কলেজে তল্লাশি চালানোর সময় গোয়েন্দারা বহু কাগজপত্র উদ্ধার করেন ৷ আধিকারিকদের অনুমান, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে এই মলয় পিঠ নিজের সংস্থায় কাজে লাগিয়েছিলেন ৷
তবে শুধু মলয় পিঠ নন, এর আগে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। ইডি সূত্রে খবর, গতকাল বেশিরভাগ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি কেষ্ট-কন্যা। তবে শুধু একা সুকন্যা নন, ইডির দফতরে আজ কেষ্টর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও। হাজিরা দিয়েছেন অ্য়াকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। পাশাপাশি, ইডি দফতরে গিয়েছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ চাল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যও। গত ১০ দিনেরও বেশি দিল্লিতে ইডির হেফজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গরুপাচার মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই একে একে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে তলব করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, শুধু গরুপাচার মামলা নয় লটারিকাণ্ডেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের ১ কোটি টাকা লটারি জয়ের ঘটনায় সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, এক এজেন্সির টিকিটে অন্য সংস্থা থেকে টাকা জিতেছিলেন কেষ্ট! লটারির টিকিটটি ছিল রাহুল লটারির। ছবিসহ অনুব্রত মণ্ডলের নাম প্রকাশ হয় লটারি এজেন্সির ওয়েবসাইটেও। কিন্তু গাঙ্গুলি লটারি নামে অন্য একটি এজেন্সি থেকে টাকাটি ভাঙানো হয়েছিল। বোলপুরের সেই রাহুল লটারি এজেন্সিতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: পঞ্চায়েত ভোটে নজরে নদীয়া; মমতা-মুকুল বৈঠক, আজ কৃষ্ণনগরে জনসভা তৃণমূলনেত্রীর