EXCLUSIVE: গরু, কয়লার পর ইডির নজরে বালি-পাথর পাচার, তদন্তের সবুজ সংকেত দিল্লির

গরু, কয়লার পর এবার ইডির নজরে বালি-পাথর পাচার। অর্থের উৎসের খোঁজে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।  কয়েকদিন আগে বীরভূমের একাধিক বালি-পাথর ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশির পরই দিল্লি থেকে তদন্তের সবুজ সঙ্কেত। দুটি ক্ষেত্রেই আলাদা করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই ইডির নজরে রয়েছে।

Updated By: Sep 10, 2022, 11:08 AM IST
EXCLUSIVE: গরু, কয়লার পর ইডির নজরে বালি-পাথর পাচার, তদন্তের সবুজ সংকেত দিল্লির
প্রতীকী ছবি

বিক্রম দাস:  গরু ও কয়লা পাচারের পর এবার বালি-পাথর পাচার নিয়ে সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বালি ও পাথর পাচারে মামলা রুজু করতে শুরু করেছে। বলা যায়, গরু ও কয়লার পর এবার ইডি নজরে বেআইনি পাথর ও বালি পাচার। এই বিষয়ে আলাদা করে তদন্তে নেমেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি জোন টুয়ের ECIR করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। টাকার খোঁজে হানা দেয় একাধিক বালি ও পাথর ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সেখান থেকেই তথ্য মেলে বলে ইডি সূত্রে খবর। তারপরই দিল্লি থেকে তদন্তের সবুজ সঙ্কেত মেলে। 

আরও পড়ুন, Exclusive: হাওড়া স্টেশনের ওয়েটিং রুমে থাকত বাগুইআটি জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত!

বালি ও পাথর পাচার কাণ্ডে বেশকিছু কমন মানুষের নাম উঠে আসছে। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সুতরাং, এখানে গরু-কয়লা পাচার কাণ্ডের অভিযুক্তদেরও সন্দেহের বাইরে রাখছেন না তারা। দুটি ক্ষেত্রেই আলাদা করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই ইডির নজরে রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কোথায় তাই জানতে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা। 

যদিও অনুব্রতর গ্রেফতারি মূলত গরু পাচারের মামলাতেই। সেই মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতিকে জেরা করতে গিয়ে বালি-পাথর পাচার সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, এই পাচারের দরুন রাজ্য সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, বীরভূমের বৈধ ও অবৈধ যত ঘাট থেকে বালি উত্তোলন হয়, তার দু'দিক থেকে টাকা যেত অনুব্রতর কাছে। কীভাবে? বৈধ বালিঘাটের মালিকদের থেকে মাসে দেড় লক্ষ টাকা তোলা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আবার বৈধ ঘাট ছাড়া রয়েছে অসংখ্য অবৈধ ঘাট। প্রশাসনের নাকের ডগাতেই যেখান থেকে বছরের পর বছর ধরে বালি তোলা ও পাচার হচ্ছে। যার অধিকাংশই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ দু'জন নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ। এই অবৈধ ঘাটগুলি বকলমে অনুব্রতর বলেও অভিযোগ। সে কারণেই অবৈধ ঘাটের বালির লভ্যাংশের ৭০ শতাংশ যেত অনুব্রত কাছে। বাকি ৩০ শতাংশ পেত সেই বালি মাফিয়ারা। 

অন্যদিকে, বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিস শুক্রবার রাতে অবৈধ বালি বোঝাই দুটো ১৬ চাকা ট্রাক ও দুটি ট্রাক্টর আটক করেছে। দুবরাজপুরের সিআই মাধব চন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে বিরাট পুলিস ফোর্স সেদিন রাতে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কের তরুলিয়া মোড়ের কাছ থেকে অবৈধ বালি বোঝাই দুটো বড় ট্রাক ও দুটি ট্রাক্টর আটক করে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় দুটি ট্রাকের ড্রাইভারকে। শনিবার তাদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, দুটো ট্রাক ও ট্রাক্টর দুটি অজয় নদ থেকে অবৈধভাবে বালি বোঝাই করে পাচার হচ্ছিল। পুলিসের কাছে খবর আসতেই গাড়িগুলো আটক করে। প্রসঙ্গত, এর আগেও দুবরাজপুর থানার পুলিস প্রচুর অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করেছে।

আরও পড়ুন, Anis Khan: ধারালো অস্ত্রের কোপ, রক্তাক্ত প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.