ডেঙ্গির ক্ষেত্রে ডাক্তারদের পরামর্শ
দমদম ও সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে এসেছে মৃত্যুর খবর। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, ভাইরাল ফিভারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার পাঁচ শতাংশেরও কম। এই মৃত্যুর হারই বুঝিয়ে দেয়, কত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই জীবাণু।
ওয়েব ডেস্ক: দমদম ও সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে এসেছে মৃত্যুর খবর। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, ভাইরাল ফিভারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার পাঁচ শতাংশেরও কম। এই মৃত্যুর হারই বুঝিয়ে দেয়, কত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই জীবাণু।
ডেঙ্গির মশা সাধারণত ভোররাতে কামড়ায়। তবে সে যে দিনের অন্য কোনও সময় কামড়াবে না তার নিশ্চয়তা নেই। চিকিত্সকরা বলছেন জ্বর হলে ইন্টারনেট দেখে নিজে নিজে ডাক্তারি একেবারেই নয়।
১) জ্বর হলে দেরি না করে রক্ত পরীক্ষা। ডেঙ্গি, NS1, ম্যালেরিয়া প্রথম দিন থেকেই রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে। তাই, প্রথম থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
২) ডেঙ্গি রোগীকে মশারির মধ্যে রাখতে হবে। ৬-৭ দিন অন্তর পাত্রের জল ফেলে নতুন জল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন- শহরে ফিরে এল ডেঙ্গি
৩) 'কোলা' রঙের মূত্রত্যাগ করলে বাড়িতে চিকিত্সা নয়। ৫-৬দিন জ্বরের পর NS1 টেস্ট করানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।
৪) বাড়ির আশপাশে জল জমতে দেওয়া নয়। বাড়ির আশপাশে আবর্জনা ফেলবেন না।
৫) ডেঙ্গি হলে পাকস্থলীর ক্ষতি করতে পারে এমন কোনও খাবার নয়।
আরও পড়ুন- মারণ রোগ হেপাটাইটিস বি!
চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মনে সাহস রাখা। ডেঙ্গি ভাইরাসঘটিত অসুখ। তার চিকিত্সাও উপসর্গভিত্তিক। তবু বিরলতম ক্ষেত্রেই তা প্রাণঘাতী হয়। বরং কোনও এলাকায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার একমাসের মধ্যেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিজে থেকেই তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তখন সেই ভাইরাস অকেজো হয়ে যায়।