'সিস্টেম না মেনে জবরদস্তি যা খুশি করতে চাইছে', বাংলার ট্যাবলো বাদ নিয়ে সাফাই দিলীপের
রাজ্যের প্রস্তাবিত কন্যাশ্রী, সেভ গ্রিন স্টে ক্লিন ও জল ধরো জল ভরো - এই ৩টি বিষয়ই বাতিল হয়ে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "এটা নতুন নয়। গত বছরও হয়েছে। ওরা যা খুশি করতে চাইছে। এরা জবরদস্তি যা ইচ্ছা করতে চায়। সব জায়গায় চলবে না। এর জন্য আলাদা কমিটি আছে। তাদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা উচিত। কেন পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বার বার হয়? সেজন্য রাজনীতি না করে যারা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। এতে মানসম্মান রক্ষা হবে। সিস্টেম অনুযায়ী হওয়া চাই। সিস্টেম অনুযায়ী হচ্ছে না, তাই বাদ দিয়েছে। কমিটির সঙ্গে কথা বলা উচিত।" নদীয়ার রানাঘাটে দাঁড়িয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার ট্যাবলো বাদ যাওয়ার প্রসঙ্গে বললেন দিলীপ ঘোষ।
এবারও দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে থাকছে না বাংলার ট্যাবলো। ট্যাবলোর বিষয়বস্তু হিসাবে রাজ্যের প্রস্তাব খারিজ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কমিটি। আর এরফলেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ফিরে এল কেন্দ্র-রাজ্য পুরনো সংঘাত। ট্যাবলো বাদ দেওয়াকে ঘিরে চাপানউতর শুরু হয়ে গেল বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যেও। নিয়মানুযায়ী প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্যাবলো বাছাইয়ে প্রধান মাপকাঠি হল সেটির বিষয়বস্তু অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় কতটা আলাদা, কতটা অনন্য। রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের প্রস্তাবের ভিত্তিতেই, প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নির্বাচন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এজন্য একাধিক বৈঠক করা হয়।
এবার প্রথম দুটি বৈঠকে বাংলার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। তবে, দ্বিতীয় বৈঠকের পর আর কোনও আলোচনা হয়নি। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছ থেকে ৫৬টি ট্যাবলোর প্রস্তাব আসে। তারমধ্যে ১৬টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক মিলিয়ে ২২টি ট্যাবলো দিল্লির রাজপথে দেখা যাবে। বাংলার মতো বাদ পড়েছে মহারাষ্ট্রও। বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকার জন্যই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলেও।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টের নির্দেশে খারিজ ভোটাভুটি, ঝুলে রইল ভাটপাড়া পুরসভার ভবিষ্যৎ
প্রসঙ্গত, গত বছর দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বাংলার ট্যাবলো ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ছৌ নাচের ট্যাবলো প্রথম পুরস্কারও পায়। কিন্তু এর আগেও কন্যাশ্রী ট্যাবলো দিল্লির প্যারেডে জায়গা পায়নি। বাদ পড়েছে বাংলা। এবারও তারই পুনরাবৃত্তি। রাজ্যের প্রস্তাবিত কন্যাশ্রী, সেভ গ্রিন স্টে ক্লিন ও জল ধরো জল ভরো - এই ৩টি বিষয়ই বাতিল হয়ে গিয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গের কন্যাশ্রী ট্যাবলোর প্রস্তাব খারিজ হয়, কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প রয়েছে। সেভ গ্রিন স্টে ক্লিন এবং জল ধরো জল ভরোর মতো একইরকম কেন্দ্রীয় প্রকল্প হল ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম এবং অটল যোজনা।