যাবেন ভেবে বোধহয় রাজ্যপালকে কালীপুজোয় আমন্ত্রণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী, মন্তব্য দিলীপের

"ওনারা ওনাকে ডেকেছেন। হয়তো ভাবেননি যে রাজ্যপাল সত্যিই চলে যাবেন। উনি গিয়েছেন সেটা ভালো কথা।" মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় গতকাল সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Oct 28, 2019, 05:33 PM IST
যাবেন ভেবে বোধহয় রাজ্যপালকে কালীপুজোয় আমন্ত্রণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী, মন্তব্য দিলীপের

অঞ্জন রায় : নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে রাজ্যপাল যে সত্যি সত্যিই চলে যাবেন, এমনতা বোধহয় ভাবেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সস্ত্রীক উপস্থিতি নিয়ে এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, "ওনারা ওনাকে ডেকেছেন। হয়তো ভাবেননি যে রাজ্যপাল সত্যিই চলে যাবেন। উনি গিয়েছেন সেটা ভালো কথা। সাধারণ মানুষের কাছ এরফলে একটা বার্তা যাবে। উৎসবকে সবসময় উৎসবের মতোই পালন করা উচিত। তাতে রাজনীতির রং মেশানো উচিত নয়।"

রাজ্যপালের গতিবিধির জন্য রাজ্য প্রশাসন ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস চাপে পড়ে যাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, "রাজ্যপাল সম্পর্কে রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা যে ভাষায় যেভাবে কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে ওনারা খুব সমস্যায় আছেন।" একইসঙ্গে আরও বলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে কোনও লাভ নেই। এই রাজ্যপালকে কেউ চাপ দিতে পারেন বলে তাঁর মনে হয় না।

রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের বাড়ির কালীপুজোয় অংশ নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। স্ত্রী সুদেশ ধনখড়কে নিয়ে কালীপুজোয় উপস্থিত হন তিনি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রাজ্যপালকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীকে নিজে চিঠি দিয়ে ভাইফোঁটার দিন তাঁর বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই চিঠির উত্তরেই সস্ত্রীক রাজ্যপালকে ২৭ অক্টোবর বাড়ির কালীপুজোয় আমন্ত্রণ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন, পরনে সাদা টি-শার্ট ও শর্টস, সাত সকালে বাণ মারলেন দিলীপ ঘোষ

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে এই খবর সামনে আসতেই হই হই পড়ে যায়। এরপর রবিবার সকালে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাচ্ছেন সেবিষয়ে একটি টুইটও করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ স্ত্রী সুদেশ ধনখড়কে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। ওয়াকিবহল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় রাজ্যপালের উপস্থিতি-ই বিবাদের অবসান ঘটিয়ে দুতরফের মধ্যে সৌজন্যের রাস্তা তৈরি করবে।

.