''জেলে থাকলে বাঁচবেন, হাসপাতালে মেরে ফেলা হতে পারে'', অনুব্রত প্রসঙ্গে পরামর্শ দিলীপের
অনুব্রতকে নয়া পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘জেলই ওঁর জন্য তূলনামূলক ভাবে নিরাপদ। তাই সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।’’
নিজস্ব প্রতিবেদন: গরুপাচার মামলায় বারংবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থার কারণ দেখিয়ে সিবিআই-এর দফতরে গরহাজির থেকেছেন তিনি। এমনকি হাসপাতালে ভর্তিও হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। গত শনিবার ষষ্ঠবারের জন্য তলব করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেদিনও তদন্তকারীদের সামনে উপস্থিত হননি অনুব্রত।
এদিন অনুব্রতকে নয়া পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘জেলই ওঁর জন্য তূলনামূলক ভাবে নিরাপদ। তাই সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, "জেলে থাকলে ঠিক আছে, হাসপাতালে থাকলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। আমার মনে হচ্ছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য এনি হাউ তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।"
অনুব্রতকে সিবিআই তলবের প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ''ওনার খালি সিবিআই দেখলে শরীর খারাপ হয়ে যায়। প্রশ্ন তা নয় এভাবে তো বেশি দিন বাঁচা যায় না, আজ হোক কাল হোক আসতে হবে। কিন্তু আমার যেটা সন্দেহ হচ্ছে, হয় ওনাকে সারাজীবন হসপিটালে থাকতে হবে আর না হয় সারাজীবন জেলে থাকতে হবে। আমার মনে হয় একটা চাবিতেই সব ঘর খোলা যাবে সেজন্য চাবি হারিয়ে ফেলো। সেই জন্য এখন নতুন চিন্তা আমাদের এটা যে ওই লোকটা যদি জেলে চলে যায় তাহলে প্রাণটা থাকবে ,না হলে খুব সম্ভাবনা আছে বেঁচে না থাকার।''
সোমবার সকালে কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন দিলীপ। বিমানবন্দকে অনুব্রতকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে শনিবারই সিবিআইয়ের জোড়া ডাক উপেক্ষা করেছেন অনুব্রত। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলা ছাড়াও ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রবিবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে তলব করে সিবিআই।
আরও পড়ুন, Exclusive Roopa Ganguly: শুভেন্দু অধিকারীকে ভাল করে চিনি না, বড় নেতা মনে হয়: রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়