Dengue In Bengal: পুজোর মুখে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, একদিনে আক্রান্ত ৭০১, কলকাতায় ফের মৃত্যু
Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত কেন? উঠে আসছে বেশ কয়েকটি কারণ। রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে মোট মৃত ১৬ জন।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: পুজোর আগে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। কলকাতায় ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু। বাঁশদ্রোণীতে মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্ত বৃদ্ধের। রিপোর্ট বলছে, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৭০১ জন। ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ২২১ জন। রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে মোট মৃত ১৬ জন।
বাঁশদ্রোণীর নিউ গভর্মেন্ট কলোনির বাসিন্দা ৬১ বছরের সুব্রত সরকারের ১৪ তারিখ থেকে জ্বর ছিল। ১৭ তারিখ তাঁর ডেঙ্গি পজিটিভ হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর প্লেটলেট হু হু করে নামতে থাকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শক সিন্ড্রোমেই মৃত্যু হয়েছে সুব্রত সরকারের।
এখন এই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত কেন? উঠে আসছে বেশ কয়েকটি কারণ-
১) দেরিতে ডেঙ্গির পরীক্ষা।
২) অনেকেই জ্বরের পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিনে পরীক্ষা করাচ্ছেন।
৩) ততদিনে জটিলতা আরও বেড়ে যায়।
৪) শরীরে তরলের অভাব দেখা দিচ্ছে।
৫) রক্তের উপাদানের ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে।
৬) প্লেটলেট কমতে থাকে।
৭) রক্তনালী ফুটো হয়ে প্লাজমা বেরতে শুরু করে।
৮) শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্লুইড জমতে শুরু করে।
শুরুর দিকে দাপট দেখাচ্ছিল একা ডেঙ্গ-৩ ভ্যারিয়্যান্ট। এখন স্বাস্থ্যকর্তাদের চিন্তা বাড়িয়ে ধীরে ধীরে সংক্রমণের হার বাড়িয়েছে ডেঙ্গ-২-ও। সাধারণভাবে ডেঙ্গির ৪ রকমের সেরোটাইপ বা প্রজাতির দাপট-ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখা যায়। কোন সেরোটাইপয়ের দাপট বেশি, তার উপর নির্ভর করে রাজ্যের সার্বিক ডেঙ্গি চিত্র। ডেঙ্গ-৩-এর প্রভাবে সাধারণত প্লেটলেট কমে গিয়ে রোগীর বিপদ দেখা দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, ডেঙ্গির ডেঙ্গ-২ প্রজাতি রোগীর একাধিক অঙ্গে হানা দিয়ে শক সিন্ড্রোম ডেকে আনে। চিকিৎসকদের রোগীকে বাঁচানোর জন্য তখন আর কিছুই করার থাকে না।
আরও পড়ুন, Mosquito Bites: গন্ধ শুঁকে মশা কাউকে বেশি কামড়ায়, কাউকে কম, অবাক করা কারণ!
২০১৯ সালে এই প্রজাতির ডেঙ্গি-ই দাপট দেখিয়েছিল রাজ্যে। আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সার্বিক ডেঙ্গি সেরোটাইপিংয়ের তথ্য বলছে, ডেঙ্গ-৩ হয়েছে শতকরা ৫২ শতাংশ মানুষের। ডেঙ্গ-২-এর শিকার শতকরা ৩৪ শতাংশ মানুষ। আর ডেঙ্গ-১ হয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ মানুষের। ডেঙ্গ-৪-এর শিকার মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ।