Mamata Banerjee: বাংলায় উৎসব শুরু! মহালয়ার ৩ দিন আগেই পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
টালা ব্রিজ তৈরির কাজও শেষ। স্রেফ পুজো নয়, বৃহস্পতিবার নবনির্মিত সেতুটিরও উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পয়লা সেপ্টেম্বর পুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতি উদযাপনে কলকাতায় শোভাযাত্রায় হেঁটেছিলেন তিনি।
সুতপা সেন: অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ। মহালয়ার ৩ দিন আগেই পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার সল্টলেক এফডি ব্লক, শ্রীভূমি স্পোটিং ও উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপে হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে উদ্বোধন করবেন নবনির্মিত টালা ব্রিজের।
ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় বাঙালির শারদোৎসব। গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় 'কলকাতার দুর্গাপুজো'-কে। বাংলায় এবছর পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে এক মাস আগেই! ১ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে পথে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে রানী রাসমনি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শামিল হন কলকাতা, হাওড়া ও সল্টলেকের ১৩৫ টি পুজো কমিটির সদস্যরা। শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠান হয় রেড রোডে। কারা ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে? সিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ইতিহাসবিদ তপতী গুহঠাকুর, রাজ্যের মন্ত্রী ও পুলিসের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: SSC Scam: নবম-দশমে বেআইনিভাবে কতজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে; সংখ্যা জানান, নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছর ক্লাবগুলিতে ৬০ হাজার টাকা পুজো অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে ৫০ শতাংশ নয়, বিদ্য়ুত বিলে ৬০ শতাংশ ছাড়। পুজোর উদ্যোক্তাদের মুখ্য়মন্ত্রীর বার্তা, 'কম টাকাতে ভালো পুজো করা যায়। আবার বড় ক্লাবের বড় মেনু, বড় ভেন্য়ুও হয়। এমনভাবে পুজো করবেন যাতে পদপিষ্টের ঘটনা না ঘটে, গ্রামের শিল্পীরা আপনাদের ওখানে কয়েকদিন থেকে খুশি হয়, বিদেশীরা যেন কোনও সমস্যায় না পড়ে'। মহালয়ার আগে এবার পুজোর উদ্বোধন শুরু করছেন তিনি।
এদিকে টালা ব্রিজ তৈরির কাজও শেষ। স্রেফ পুজো নয়, আগামিকাল নবনির্মিত সেতুটিরও উদ্বোধন করবেন তিনি। তবে বাস বা লরির মতো ভারী গাড়ি নয়, আপাতত শুধুমাত্র ছোট গাড়ি ও বাইক চলবে টালা ব্রিজে। সূত্রের খবর, নতুন এই ব্রিজটি ৮০০ মিটার লম্বা ও ১৯ মিটার চাওড়া। ব্রিজে থাকছে চারটি লেন।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ শহরতলির মাঝেরহাট ব্রিজ। এরপর শহরের অন্যন্য় সেতু ও উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তখন দেখা যায়, উত্তর কলকাতা টালা ব্রিজের অবস্থা রীতিমতো বিপজ্জনক। স্রেফ যান চলাচল বন্ধ রাখা নয়, আগের ব্রিজটি ভেঙে ফেলে নতুন ব্রিজ তৈরি কাজ শুরু হয়। অতিমারির সময়ে সেই কাজেও ভাটা পড়েনি।