প্রতারক সারদা গোষ্ঠীর পাশেই ছিল শাসক দল
বেআইনি চিটফান্ড সংস্থা সারদা গোষ্ঠীর হাতে প্রতারিত লক্ষাধিক মানুষ। এজেন্ট এবং আমানতকারীদের ক্ষোভে উত্তাল গোটা রাজ্য। কিন্তু কিছুটা অদ্ভুতভাবেই ক্ষোভ শুধু ওই বাণিজ্যিক সংস্থার বিরুদ্ধে নয়। সর্বস্বান্ত মানুষজনের ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও সরকারের বিরুদ্ধেও। কেন? বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, সরকার কি তাঁদের সারদা গোষ্ঠীতে টাকা রাখতে বলেছিল?
বেআইনি চিটফান্ড সংস্থা সারদা গোষ্ঠীর হাতে প্রতারিত লক্ষাধিক মানুষ। এজেন্ট এবং আমানতকারীদের ক্ষোভে উত্তাল গোটা রাজ্য। কিন্তু কিছুটা অদ্ভুতভাবেই ক্ষোভ শুধু ওই বাণিজ্যিক সংস্থার বিরুদ্ধে নয়। সর্বস্বান্ত মানুষজনের ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও সরকারের বিরুদ্ধেও। কেন?
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, সরকার কি তাঁদের সারদা গোষ্ঠীতে টাকা রাখতে বলেছিল?
বিক্ষোভকারীরা এও বলছেন, জেলায় জেলায় সারদা গোষ্ঠীর দফতরে তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের ছবিও থাকত। এমনকী একই বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সারদা গোষ্ঠীর দফতর রয়েছে, এমন ছবিও দেখা গেছে ঘাটালে।
শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাই নন, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোতভাবে সারদা গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কেন?
২০১২-র ৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয় সারদা গোষ্ঠীর সংবাদপত্র কলম। এটি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি ছোট কাগজের পাশে আছেন।
২০১২-র ২৭ মার্চ একটি নির্দেশ জারি করে সরকার। কী বলা হয়েছিল সেই নির্দেশে?
সরকারি সেই নির্দেশ অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি বহুল প্রচারিত বাংলা এবং ইংরেজি দৈনিককে সরকারি পাঠাগারে না রাখার ফতোয়া জারি হয়। যে আটটি সংবাদপত্র সেইসময় সরকারের পছন্দের তালিকায় ছিল তার বেশ কয়েকটিই সারদা গোষ্ঠীর। সরকারি সেই ফতোয়া ঘিরে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসই নয়, সারদা গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক যে সরকারও একের পর এক ঘটনায় সেই বার্তাই যায়। আর সম্ভবত সেই কারণেই সর্বস্বান্ত মানুষের ক্ষোভ শুধু সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, শাসক দলের বিরুদ্ধেও।