নতুন করে পার্ট ওয়ানের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে ঠিক হয়, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে ২০০৯-এর আইন অনুযায়ী। যার ফলে ফেল করা বেশির ভাগ পড়ুয়ারাই পাশ করে পরের বর্ষে উত্তীর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সারা দিয়ে পড়ুয়াদের নতুনভাবে পার্ট ওয়ানের ফল প্রকাশ করতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেট বৈঠকের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বলেন, "ন্যাচারাল জাস্টিসের স্বার্থে ২০০৯-এর নিয়মই বলবৎ করা হবে।" অর্থাৎ, এই আইন অনুযায়ী পুরনো নিয়মেই নতুন করে পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। সিন্ডিকেটের রায়ে খুশি পড়ুয়ারা, গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর জুড়ে এখন চলছে বিজয় উৎসব। তবে এভাবে পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য, প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার মান নিয়েও।
আরও পড়ুন- কলকাতা সিপিএম-এ কল্লোল যুগের শুরু, বাদ একডজন 'বুড়ো নেতা'
অনার্স পেপারে ৭০ শতাংশ নম্বর, অথচ পাসের পেপারে ডাহা ফেল। শহর কলকাতার নামী দামি কলেজ সহ একাধিক কলেজেই ছবিটা ছিল এক। ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই পাসের পেপারগুলিতে পাশই করতে পারেননি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট ওয়ানের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় জেনারল ক্যাটাগরিতেও ভুরিভুরি ফেলের ছবি। মার্কশিটে দেখা যায়, সিংহভাগ পড়ুয়াই ৩০ নম্বরও তুলতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন নিয়ম চালু করাতেই এমনটা হয়েছে। অন্যদিকে পড়ুয়াদের দাবি ছিল, নতুন নিয়ম তাঁরা জানতেনই না।
এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়ম নিয়ে প্রশ্নে তুলে সরব হয় পড়ুয়াদের একাংশ। শুরু হয় নাছোড়বান্দা আন্দোলন। হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। শিক্ষামন্ত্রীকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পুরনো নিয়মটিই বহাল রাখার জন্য অনুরোধ করেন। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে ঠিক হয়, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে ২০০৯-এর আইন অনুযায়ী। যার ফলে ফেল করা বেশির ভাগ পড়ুয়ারাই পাশ করে পরের বর্ষে উত্তীর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুনঃমূল্যায়নের কথা জানতেই, কলেজ স্ট্রিট চত্বরে বিজয় উল্লাসে নেমেছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।