কলকাতা বন্দরের স্বাস্থ্যোদ্ধারে দাওয়াই পণ্য পরিবহণ
কলকাতায় সড়কপথে পণ্য পরিবহণে মাত্র চার ঘণ্টা সময় পাওয়া যায়। ফলে অনেকক্ষেত্রেই সময়ে পৌঁছনো যায় না। নষ্ট হয় টাকা। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে হাওড়া ভূত ঘাট থেকে জলপথেই পণ্য পরিবহণ হবে। বিআরএসএন জেটি থেকে হবে মাল খালাস। এর জেরে অনেকটাই সময় বাঁচবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পণ্য খালাসে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে কলকাতা বন্দর। অন্যান্য বন্দরের তুলনায় কলকাতা বন্দরের এমন অবস্থা বিশেষভাবে চোখে পড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে অঙ্কটা ১ শতাংশের সামান্য বেশি। যেখানে পারাদ্বীপের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির পরিমাণটা প্রায় ১৫ শতাংশ। আর হলদিয়া বন্দরের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির পরিমাণটা প্রায় ১৮ শতাংশ। ফলে প্রতিযোগিতার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে কলকাতা বন্দর।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং লাভের মুখ দেখতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এখন থেকে জলপথ পরিবহণে বেশি করে জোর দেওয়া হবে। কারণ শহরে ভূতল পণ্য পরিবহণে একাধিক সমস্যা রয়েছে। কলকাতায় সড়কপথে পণ্য পরিবহণে মাত্র চার ঘণ্টা সময় পাওয়া যায়। ফলে অনেকক্ষেত্রেই সময়ে পৌঁছনো যায় না। নষ্ট হয় টাকা। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে হাওড়া ভূত ঘাট থেকে জলপথেই পণ্য পরিবহণ হবে। বিআরএসএন জেটি থেকে হবে মাল খালাস। এর জেরে অনেকটাই সময় বাঁচবে।
গঙ্গাসাগর, শালুখালি ও হলদিয়ায় তৈরি হচ্ছে ফ্লোটিং বার্জ জেটি। এর ফলে জাহাজ থেকে পণ্য গড়িয়ে গিয়ে সোজা পৌঁছে যাবে লরিতে। এই প্রযুক্তির জন্য গঙ্গাসাগরে খরচ হবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। আর হলদিয়ায় সেই অঙ্কটা প্রায় ৭৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে লিকুইড কার্গো হ্যান্ডলিং জেটি তৈরির জন্য শালুখালি ও হলদিয়ায় খরচ হবে প্রায় ১৭৪ কোটি। রো রো পদ্ধতি আগেই গ্রহণ করেছে হলদিয়া। আর তার সুফলও মিলেছে হাতেনাতে। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা বন্দরও। উদ্দেশ্য একটাই, কলকাতা বন্দরকে দেখাতে হবে লাভের মুখ।