রাজ্যসভা নির্বাচনে চতুর্থ প্রার্থী ইমরানের জয় নিশ্চিত করতে বাম ও কংগ্রেস দুই শিবিরেই ফাটল ধরাল তৃণমূল
রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের চতুর্থ প্রার্থী ইমরানের জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। আর সেই অনিশ্চয়তা কাটাতে বাম এবং কংগ্রেস দুই শিবিরেই ফাটল ধরাল তৃণমূল। নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে দলের চার প্রার্থীরই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছেন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা। রাজ্যসভায় কোনও প্রার্থীকে জেতানোর জন্য উনপঞ্চাশ জন বিধায়কের ভোট প্রয়োজন।
রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের চতুর্থ প্রার্থী ইমরানের জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। আর সেই অনিশ্চয়তা কাটাতে বাম এবং কংগ্রেস দুই শিবিরেই ফাটল ধরাল তৃণমূল। নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে দলের চার প্রার্থীরই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছেন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা। রাজ্যসভায় কোনও প্রার্থীকে জেতানোর জন্য উনপঞ্চাশ জন বিধায়কের ভোট প্রয়োজন।
সেই হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম তিন প্রার্থী মিঠুন চক্রবর্তী, যোগেন চৌধুরী এবং কে ডি সিং-এর জয় আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল।
তিনজনকে জেতানোর পর চতুর্থ প্রার্থী ইমরানের জন্য তৃণমূলের হাতে ৪৫ জন বিধায়কের ভোট থাকছে। অর্থাত্ প্রয়োজনীয় উনপঞ্চাশটি ভোটের চেয়ে চার কম। ওই চারটি ভোট জোগাড়ে সর্বশক্তিতে নেমে পড়েন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা।
বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই দুই কংগ্রেস বিধায়ক ঘোষণা করে জানিয়ে দেন, শুক্রবার তাঁরা ভোট দেবেন তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে।
এরা হলেন, সুজাপুরের বিধায়ক আবু নাসের খান চৌধুরী এবং গাজোলের বিধায়ক সুশীল রায়।
শুধু কংগ্রেস নয়, ভাঙন ধরেছে বাম শিবিরেও। সূত্রের খবর, গলসির ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক সুনীল মণ্ডল তৃণমূল প্রার্থীর সুবিধা করে দিতে পারেন। প্রায় একই অবস্থান নিয়েছেন দুই আরএসপি বিধায়কও। তাঁদের একজন প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে কুমারগ্রামের বিধায়ক দশরথ তিরকে। আরেকজন ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী।
রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরিয়ে দলের চার প্রার্থীরই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে তৃণমূল।
বিধানসভায় বামেদের বিধায়ক সংখ্যা ৬১। তাঁদের প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ৪৯টি ভোট দেওয়ার পর বামেদের হাতে থেকে যাচ্ছে অতিরিক্ত বারোটি ভোট।
বামেদের সিদ্ধান্ত ছিল, অতিরিক্ত ভোট তাঁরা নির্দল প্রার্থী এম এ মালিহাবাদির পক্ষে দেবেন। কিন্তু এখন এই ১২টির মধ্যে কমপক্ষে তিনটি ভোট কোনদিকে পড়বে তা নিয়ে অনিশ্চিত বাম নেতারা।
একই অবস্থা কংগ্রেস শিবিরেও।বিধানসভায় তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৩৮। কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ছিল, সকলেই ভোট দেবেন নির্দল প্রার্থী এম এ মালিহাবাদির পক্ষে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের ৩৮টি এবং বামেদের বারোটি মিলিয়ে মোট ৫০টি ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত ছিল মালিহাবাদির।
কিন্তু কংগ্রেস এবং বাম শিবিরে ভাঙনের জেরে এখন তাঁর পরাজয় নিশ্চিত।