নতুন মুখ কই? সংগঠনের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা দেখে ক্ষুব্ধ ইয়েচুরি
জেলাগুলি থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের আক্ষেপ, দলের সংগঠনের অবস্থা ভয়াবহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গণসংগঠনের সদস্যদের ভোট গিয়েছে পদ্মে। দলের সর্বক্ষণের কর্মীদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে স্বীকার করে নিয়েছিল সিপিএম। এবার দলে যে তরুণ রক্তের সংকট তৈরি হয়েছে, তাও ঠারেঠোরে মেনে নিলেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।
ভরাডুবির পর নতুনদের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার দাবি জোরালোভাবে উঠছে আলিমুদ্দিনের অন্দরে। কিন্তু নতুন মুখ কই? এদিন সীতারাম ইয়েচুরির প্রশ্ন করেন, ভোটারদের গড় বয়স ৪০, কিন্তু নেতাদের ৬০। তরুণদের আনতে পারছেন না কেন?
জেলাগুলি থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের আক্ষেপ, দলের সংগঠনের অবস্থা ভয়াবহ। তবে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের ছাঁটাইয়ের কাজ থামবে না। প্লেনামের নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে ১৫ আগস্টের মধ্যে নিস্ক্রিয় কর্মীদের তালিকা তৈরি করে বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করবে সিপিএম। জেলা কমিটির রিপোর্ট বলছে, নিষ্ক্রিয় কর্মীদের জন্য দলের সদস্যপদে ধস নেমেছে। কাজে আসেনি ব্রিগেডের সাফল্য। জেলা কমিটির এমন রিপোর্টে রীতিমতো ক্ষূব্ধ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। নতুন মুখ না আসলে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সংগঠন? শীঘ্রই সিপিএম নেতৃত্ব উপায় খুঁজতে না পারলে আরও ভয়ঙ্কর দিন আসতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সভা-সমাবেশে লোক এসেছেন, কিন্তু ইভিএমে তা প্রতিফলিত হয়নি। লোকসভা ভোটের আগে কৃষক জাঠা, পরে ব্রিগেডে লোকবল দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সিপিএম নেতারা। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর একেবারে উলটপুরাণ! দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল, দলের কর্মীরাই কি ভোট কাস্তে-হাতুড়িতে দেননি? যাদবপুরের মতো কেন্দ্রেও তৃতীয়স্থানে থাকতে হয়েছে সিপিএমকে। যা কল্পনাতীত। কিন্তু কেন এমন হাল? সর্বক্ষণের কর্মীদের লেখা গোপন চিঠি সিপিএম স্বীকার করে নিয়েছে, গণসংগঠনগুলির সদস্যদের ভোট তাদের দিকে পড়েনি। এমনকি মেরুকরণের প্রভাব যে এতটা হবে, তার আঁচও করতে ব্যর্থ হয়েছে সংগঠন।
আরও পড়ুন- চোখ কেমন আছে? কোথায় দেখাচ্ছ? অভিষেকের কাছে জানতে চাইলেন মোদী