ব্রিগেডে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হল সিপিএম

ব্রিগেডে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হল সিপিএম। তৃণমূলের কাছ থেকে সংখ্যালঘুদের সরিয়ে আনা আর কংগ্রেস-তৃণমূল সম্ভাব্য জোটের রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এক ঢিলে দুই পাখি মারতেই সিপিএমের এই কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও। তৃণমূল হঠাও বাংলা বাঁচাও। এই স্লোগানেই কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকদলকে এক সারিতে এনে ফেলার চেষ্টা করলেন সিপিএম নেতারা।

Updated By: Dec 28, 2015, 09:34 AM IST
ব্রিগেডে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হল সিপিএম

ওয়েব ডেস্ক: ব্রিগেডে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হল সিপিএম। তৃণমূলের কাছ থেকে সংখ্যালঘুদের সরিয়ে আনা আর কংগ্রেস-তৃণমূল সম্ভাব্য জোটের রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এক ঢিলে দুই পাখি মারতেই সিপিএমের এই কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও। তৃণমূল হঠাও বাংলা বাঁচাও। এই স্লোগানেই কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকদলকে এক সারিতে এনে ফেলার চেষ্টা করলেন সিপিএম নেতারা। বিজেপি-তৃণমূল দু-দলের বিরুদ্ধে গাঁটছড়া বাঁধার অভিযোগও তুললেন তাঁরা।বিধানসভা ভোটে চতুর্মুখী লড়াই না হলে কার হাত কে ধরবে? আপাতত দুটো সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছে। কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের সমঝোতা অথবা কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট। রাজনৈতিক মহল বলছে, হাতে হাত রাখার দৌড়ে সামিল সিপিএম-তৃণমূল দু-দলই।
মাস কয়েক আগে সিপিএম নেতা গৌতম দেব প্রথম কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে সওয়াল করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও সরাসরি না বলেননি। কিন্তু, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনিয়া-রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। প্রদেশ কংগ্রেস না চাইলেও হাইকমান্ডের ইচ্ছেয় তৃণমূলের সঙ্গেই কংগ্রেসের জোট হবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের মতে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের মাখামাখির অভিযোগ করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে সিপিএম। একদিকে, সংখ্যালঘু ভোট যাতে তৃণমূলের ঝুলিতে জমা না পড়ে তার চেষ্টা। অন্যদিকে, কংগ্রেস-তৃণমূলের সম্ভাব্য জোটের রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে দেওয়া। সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে সরকার চালানোর ব্যর্থতা। ব্রিগেডের ময়দানে শাসকদলকে সবদিক দিয়ে চেপে ধরার চেষ্টা করেছেন সিপিএম নেতারা। কিন্তু, তৃণমূলের বিকল্প হিসাবে মানুষ আবার তাঁদের বেছে নেবেন কেন? ভোটারদের বার্তা দিতে ব্রিগেড থেকে সিপিএমের প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় ফিরলে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানই হবে তাদের মূল লক্ষ্য।

.