তরুণ নেতার তীক্ষ্ণ সমালোচনায় বিদ্ধ 'বৃদ্ধ' সিপিআইএম
দলে তরুণ প্রজন্মের নেতা নির্বাচনে যোগ্যতার বদলে ব্যক্তিগত সম্পর্কই গুরুত্ব পাচ্ছে। নেতৃত্বের সম্পর্কে এমনই মারাত্মক অভিযোগ এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাসের। কলকাতায় প্লেনাম মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার সময় তীক্ষ্ম সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন দলীয় নেতৃত্বকে।
ওয়েব ডেস্ক: দলে তরুণ প্রজন্মের নেতা নির্বাচনে যোগ্যতার বদলে ব্যক্তিগত সম্পর্কই গুরুত্ব পাচ্ছে। নেতৃত্বের সম্পর্কে এমনই মারাত্মক অভিযোগ এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাসের। কলকাতায় প্লেনাম মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার সময় তীক্ষ্ম সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন দলীয় নেতৃত্বকে।
দলীয় সংগঠনের খোলনলচে বদলে নতুন করে মজবুত পার্টি গড়ার কৌশল কী হবে তা ঠিক করতে পাঁচদিনের প্লেনামে বসেছে সিপিএম। ঠিক কী কী কারণে দলীয় সংগঠন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে তা খুঁজে বার করতে গিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব। প্লেনাম শুরুর দিনে প্রথম বক্তা হিসেবে শমীক লাহিড়ি যে সুর বেঁধে দেন, প্লেনামের দ্বিতীয় দিনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দলের ছাত্র-যুব নেতারা সব চেয়ে বেশি সরব শীর্ষ নেতৃত্বের কাজ নিয়ে। শমীক লাহিড়ি বলেছিলেন, ওপরতলার সিদ্ধান্ত নিচুতলার কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেন নেতারা।
এক ধাপ এগিয়ে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি মঙ্গলবার বলেন, তরুণ প্রজন্মের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর দল যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেয় না। বহু ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক। যার মাশুল গুণতে হয়েছে দলীয় সংগঠনকে।
আরেক যুব নেতার বক্তব্য, বলিয়ে কইয়েদেরই দলের জায়গা করে দেন নেতারা। বহু সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় না মাঠে ময়দানে পড়ে থাকা লড়াকু সংগঠকদের। নেতাদের এই আচরণে অনেকেই উত্সাহ হারিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। বাংলার এক প্রতিনিধি আলোচনা করতে উঠে বলেন, বিরোধী হিসেবে বামেদের ভূমিকা কী হবে না হবে বা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে তো চলছেই। অথচ অশোক ভট্টাচার্যরা উত্তরবঙ্গে দেখিয়ে দিয়েছেন বিরোধী জোটকে কীভাবে শাসকের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে হয়।
এই অংশের প্রশ্ন, দলের মধ্যে শিলিগুড়ি মডেলকে গ্রহণ করতে এতো কুণ্ঠা কেন? তবে প্লেনাম শেষে বোঝা যাবে. এ সব সমালোচনায় আদৌ শিলমোহর দেবে কিনা সিপিএম।