জোটের পথে কাঁটা সিপিআই
রাজ্যে বামে কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টে আলোচনা না করেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্ররা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা বলায় ক্ষুব্ধ সিপিআই। দলের দু দিনের রাজ্য পরিষদের সভায় জোট নিয়ে আলোচনা হয়। অনেক সদস্যেরই সায় নেই জোটে। সিপিআই চায়, সিদ্ধান্ত হোক বামফ্রন্টে আলোচনা করেই ।
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে বামে কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টে আলোচনা না করেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্ররা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা বলায় ক্ষুব্ধ সিপিআই। দলের দু দিনের রাজ্য পরিষদের সভায় জোট নিয়ে আলোচনা হয়। অনেক সদস্যেরই সায় নেই জোটে। সিপিআই চায়, সিদ্ধান্ত হোক বামফ্রন্টে আলোচনা করেই ।
দলের রাজ্য কমিটি এখনও সিলমোহর দেয়নি। তবে, বড় শরিক হিসাবে ছোট শরিকদের জোটের গুরুত্ব বোঝানোর কাজটা শুরু করে দিয়েছে সিপিএম। সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ কথা সেরে ফেলেছে আলিমুদ্দিন। আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের আপত্তি না থাকলেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রাজি নয় সিপিআই।
সিপিআই রাজ্য পরিষদের বৈঠকে দলের প্রায় সব নেতাই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে না যাওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছেন।
জোটের পথে কাঁটা সিপিআই
কংগ্রেসের প্রতি নরম মনোভাব। দক্ষিণপন্থী ঝোঁকের অভিযোগ তুলে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়ে সিপিএম তৈরি করেন জ্যোতি বসুরা। সেই সিপিএম এখন কংগ্রেসের হাত ধরতে চাইলেও বিরোধিতায় সরব সিপিআই।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ও সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভোট দেয়নি সিপিআই। বিধানসভায় সিপিআইয়ের বিধায়ক সংখ্যা সাকুল্যে দুই। রাজ্যে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সিপিএম ছাড়া গতি নেই। তাই, জোট নিয়ে বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হলে সিপিআই-এর বিরোধিতা ধোপে টিকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছেই। বাম শিবিরে এই জোট জটের মধ্যেই শাসক শিবির থেকে কটাক্ষের সুর অব্যাহত।
কংগ্রেস এখনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। গত কয়েকদিন আলিমুদ্দিনের নেতাদের মুখেও আগের মতো হাত ধরার কথা আর শোনা যাচ্ছে না। বরং তাঁরা এখন মানুষের জোটের কথা বলায় বেশি মন দিয়েছেন। শেষপর্যন্ত জল কোন দিকে গড়ায় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।