Oxygen-ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার নামে Social Media-র মাধ্যমে প্রতারণা, সতর্ক করল Kolkata Police
করোনা অতিমারিতে সকলেই এখন দিশেহারা। কোথায় মিলবে বেড, অক্সিজেন? এরকম অবস্থায় জালিয়াতির ফাঁদ পেতেছে একদল সাইবার প্রতারক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা অতিমারিতে সকলেই এখন দিশেহারা। কোথায় মিলবে বেড, অক্সিজেন? এরকম অবস্থায় জালিয়াতির ফাঁদ পেতেছে একদল সাইবার প্রতারক।
অসহায় হয়ে অনেকেই অক্সিজেন, ওষুধ, বেডের সন্ধান চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের নম্বর শেয়ার করছেন। আপনি অসহায় হলেও এর সুযোগ নিচ্ছে সাইবার জালিয়াতরা। কী ভাবে?
অনেক সময় অক্সিজেন(Oxygen), জীবনদায়ী ওষুধের সন্ধান দেওয়ার নাম করে নিজেদের ফোন নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছডিয়ে দিচ্ছে জালিয়াতরা। অথবা কেউ বেড, অক্সিজেন, প্লাজমা অথবা ওষুধ চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে অগ্রিম টাকা নিয়ে নিচ্ছে তারা। তারপর পগাড়পার।
আরও পড়ুন-করোনা-কালে কোথায় Amit Shah? খুঁজে দিন, দিল্লির থানায় 'মিসিং ডায়েরি' NSUI-র
এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সল্টলেকের এক বাসিন্দারা সঙ্গে। অনিন্দ্য ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি টুইটারে জানিয়েছেন, বেড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১১ হাজার টাকা গুগুল পে-র মাধ্যমে অগ্রিম নেওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে। তারপর মোবাইল বন্ধ করে দেয় প্রতারকরা। ইতিমধ্যেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
@KolkataPolice @MamataOfficial please note cyber fraud numbers plying in kolkata duping people by offering covid bed in the name of WB govt. and then switching off when money paid by Gpay. Details mailed to KP. We were cheated of 11000 Rs. pic.twitter.com/PXG5gypK0D
— Anindya Ghosh (@AnindyaGhosh17) May 9, 2021
পুলিস সূত্রে খবর, শুধু এই একটি ঘটনা নয়। গত কয়েক দিনে শহর ও শহরতলিতে এমন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিসের কাছে। যার জেরে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছে কলকাতা পুলিস(Kolkata Police)। সেই সঙ্গে এধরণের ঘটনার শিকার হলে অভিযোগ জানানোর জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। ( ৯৮৭৪৯০৯৬৪০)। দেওয়া হয়েছে মেইল আইডিও (jtcpcrime@kolkatapolice.gov.in)।
আরও পড়ুন-পিএম কিষানে পাচ্ছেন অনেক কম, লড়াই না করলে এইটুকুও পেতেন না, চাষিদের চিঠি Mamata-র
উল্লেখ্য, লকডাউনের সময়েও একই কায়দায় টাকা হাতাতে সক্রিয় হয়েছিল প্রতারকরা। সে সময় মদের দোকান বন্ধ থাকায় মদের হোম ডেলিভারির নাম করে হাতানো হচ্ছিল টাকা। যার পিছনে উঠে এসেছিল রাজস্থানের ভরতপুর গ্যাং-এর যোগ। যে গ্যাং ইদানীং পুলিস অফিসার এমনকি আইপিএএস অফিসারদের ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। ফলে করোনার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার যে নয়া জাল ছড়িয়েছে তার পিছনেও এমন কোনো চক্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।