শেষ পর্যন্ত কোন পথে মানস ভুঁইঞা?

মানসের বিরুদ্ধে ক্রমশই কড়া হচ্ছে দল। শেষপর্যন্ত তিনি পদত্যাগ না করলে তাঁকে সাসপেন্ড করার দিকেই এগোচ্ছে কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেই বৈঠকে মানস ভুঁইঞা থাকবেন কী না, তা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ঘিরে কংগ্রেসের ঘরের কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মেঘের আড়ালে থেকে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন মানস ভুঁইঞা। গত তিন দিন ধরে প্রকাশ্যে না এলেও ঘনিষ্ঠ মহলে মান্নানের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ ।

Updated By: Jul 6, 2016, 10:25 PM IST
শেষ পর্যন্ত কোন পথে মানস ভুঁইঞা?

ওয়েব ডেস্ক : মানসের বিরুদ্ধে ক্রমশই কড়া হচ্ছে দল। শেষপর্যন্ত তিনি পদত্যাগ না করলে তাঁকে সাসপেন্ড করার দিকেই এগোচ্ছে কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেই বৈঠকে মানস ভুঁইঞা থাকবেন কী না, তা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ঘিরে কংগ্রেসের ঘরের কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মেঘের আড়ালে থেকে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন মানস ভুঁইঞা। গত তিন দিন ধরে প্রকাশ্যে না এলেও ঘনিষ্ঠ মহলে মান্নানের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ ।

এদিকে মানস ভুঁইঞা বলেন, সুজনকে পদ ছাড়া হবে, পরিষদীয় দলের কোন বৈঠকে ঠিক হয়েছে? সুজনকেই যখন করা হবে, তখন আমায় কেন কমিটিতে রাখা হল? কেন এত ছোট একটা বিষয়ের জন্য দিল্লি ছুটলেন মান্নান?

তবে, ঘটনায় মান্নান অবশ্য সরাসরি তোপ দাগছেন মানসের বিরুদ্ধেই। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি বিশ্বাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই সবটা করেছেন মানস ভুঁইঞা। বুধবারও আইসিসির দুই নেতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেছেন আব্দুল মান্নান। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে অধীর চৌধুরীরও। শনিবার, কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক। সব বিধায়ককে বাধ্যতামূলক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানস কী থাকবেন? ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার পুজো দিতে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। নাও আসতে পারেন। মানস ভুঁইয়া যদি শেষপর্যন্ত না আসেন তাহলে জল যে আরও দূর গড়াবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

এই ঘটনায় কী কী হতে পারে বৈঠকে?

১) মানসকে পদত্যাগ করতে বলা হবে
২) সোমবার গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হবে তাঁকে

কিন্তু কী যুক্তিতে পদত্যাগ?

সোনিয়া গান্ধী সিপিএমকে এই পদটি ছাড়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। এরপর সেই নির্দেশ অমান্য করার অধিকার কারও নেই।

কিন্তু, যদি মানস পদত্যাগে রাজি না হন...?

দল সূত্রে জানা গেছে, সেক্ষেত্রে দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করার  সুপারিশ করে পাঠানো হবে এআইসিসিতে

যদি মানস বৈঠকে না আসেন...?

সেক্ষেত্রে তাঁকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে

৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে মানসের পক্ষে রয়েছেন ৫ জন। দু'জন কোনও পক্ষেই নয়। বাকিরা এই ঘটনায় মানসের বিরুদ্ধে। ফলে মানস বৈঠকে যান বা না যান, সিদ্ধান্ত যে পদত্যাগের পক্ষেই হতে চলেছে, সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে দলের নির্দেশ পেলেও শেষপর্যন্ত কী পদত্যাগ নাকি হাঁটা দেবেন অন্য পথে.....প্রশ্ন এখন এটাই।

.