দলে ভাঙন রুখতে এবার সক্রিয় হলেন অধীর চৌধুরী
দলে ভাঙন রুখতে এবার সক্রিয় হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আজ দলীয় বিধায়ক ও যুবনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।তাঁর দাবি, স্বার্থের লোভে কেউ কেউ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেসে থেকেও কেউ তৃণমূলে যোগাযোগ রাখলে, তাঁকে বহিষ্কারের হুমকিও দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।
ওয়েব ডেস্ক: দলে ভাঙন রুখতে এবার সক্রিয় হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আজ দলীয় বিধায়ক ও যুবনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।তাঁর দাবি, স্বার্থের লোভে কেউ কেউ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেসে থেকেও কেউ তৃণমূলে যোগাযোগ রাখলে, তাঁকে বহিষ্কারের হুমকিও দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।
এদিন তাত্পর্যপূর্ণভাবে নদিয়া জেলা কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে শঙ্কর সিংকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। কংগ্রেসে থেকে তৃণমূলে যোগাযোগ রাখলে বহিষ্কারের হমকিও দিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সৌমিক হোসেন সহ বেশ কয়েকজন যুব নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। সেই দলবদল জমায়েতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় দাবি করেন, যুব কংগ্রেসই মিশে গেল তৃণমূল কংগ্রেসে। মঙ্গলবার রাজ্যের লোকসভা কেন্দ্রভিত্তিক যুব সভাপতিদের হাজির করিয়ে পাল্টা জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
যুব সভাপতিদের তিনি হাজির করলেন বটে। কিন্তু কংগ্রেসের একটা অংশ ইতিমধ্যেই অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। দলের প্রথম সারির নেতারা সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বলেও খবর। প্রদেশ সভাপতি অবশ্য এতে বিচলিত নন।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন অধীর চৌধুরী। চারটি আসনে জেতে কংগ্রেস। তারপর থেকেই দলে শুরু হয় ভাঙন। দল ছাড়ছেন বিধায়ক, সাধারণ কর্মীরাও। এদিন বিধায়ক, যুব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রদেশ সভাপতি। কেন ভাঙন?অধীরবাবুর যুক্তি, ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দল ছাড়ছেন অনেকেই। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা যে কোনও দিন যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে।