Kaustav Bagchi: মমতাকে উত্খাত না করা পর্যন্ত মাথায় চুল রাখব না, জামিন পেয়েই নেড়া হলেন কৌস্তভ
জামিন পেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বেরিয়ে কৌস্তভ বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের সব গণতন্ত্রকামী মানুষের জয়। যে বইটা নিয়ে এত ভয় সেই বইটা সারা পশ্চিমবঙ্গ ঘুরবে। রাজ্যের মানুষকে ওই বইটি বিলি করার দায়িত্ব আমার। এখান থেকে বেরিয়ে আমি আমার মাথার চুল নেড়া করব
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। সেই মামলায় ১ হাজার টাকা বন্ডে জামিন পেয়েই মাথা নেড়া করে ফেললেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। শুধু তাই নয়, করে ফেললেন এক মহা প্রতিজ্ঞা। যতদিন পর্যন্ত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে উত্খাত করতে পারেন ততদিন তিনি নেড়াই থাকবেন।
আরও পড়ুন-জামিন খারিজ; ১ লাখ টাকা জরিমানা, দিল্লি যেতেই হচ্ছে অনুব্রতকে
জামিন পেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বেরিয়ে কৌস্তভ বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের সব গণতন্ত্রকামী মানুষের জয়। যে বইটা নিয়ে এত ভয় সেই বইটা সারা পশ্চিমবঙ্গ ঘুরবে। রাজ্যের মানুষকে ওই বইটি বিলি করার দায়িত্ব আমার। এখান থেকে বেরিয়ে আমি আমার মাথার চুল নেড়া করব। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যতদিন না উত্খাত হবে ততদিন আমার মাথার চুল গজাবে না। এই প্রতিজ্ঞা করছি। এই বই মানুষ আরও পড়বে। মুখ্যমন্ত্রীকে মানুষ আরও চিনবে। রাস্তা আর কোর্টের লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নাস্তানাবুদ করার দায়িত্ব আমাদের।
আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বসে মাথা নেড়া হন কৌস্তভ বাগচী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর যে মন্তব্য তার জন্য কি ক্ষমা চাইবেন? কৌস্তভ বলেন, কীসের ক্ষমা? মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আগে অধীর চৌধুরী পা ধরে ক্ষমা চান তার পরে আমি ভাবব।
জামিন নিয়ে কৌস্তভ বাগচী জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, শাসকদলের স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধেই এই লড়াই। সেখানে আমরা সফল। কোর্ট থেকে বের হওয়ার পর আমি আমার মাথার চুল কামিয়েছি। আমার পণ বা প্রতিজ্ঞা একটাই, যতদিন না পর্যন্ত রাজ্যের শাসকদল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মসনদ থেকে উত্খাত করব ততদিন আমি আমার মাথায় চুল গজাতে দেব না।
গ্রেফতারি সম্পর্কে কৌস্তভ বলেন, গতকাল রাত তিনটে নাগাদ কলকাতার বটতলা থানার একদল পুলিস আমার বাড়িতে আসে। মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় কোনও সন্ত্রাসবাদী। টিটাগড় থানাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ি ঘিরে ফেলে। আমাকে বলা হয় আমাকে অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। ওদের আমি বলি আপনাদের আসার দরকার ছিল না। ফোন করলেই আমি চলে যেতাম। তখন পুলিস বলে, উপরতলার নির্দেশ রয়েছে আপনাকে অ্যারেস্ট করতে হবে। রাত তিনটে থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আমাকে বাড়িতে বসিয়ে হেনস্থা করে। পরে বটতলা থানায় আসি। তারপর কোর্টে তোলা হয়। আইনত মোকাবিলা হয়। কোর্টটা এখনও তৃণমূলের চটিচাটা হয়ে ওঠেনি। এখানে আইনের বিচার হয়। মানুষ বিচার পায়। এখানে তৃণমূল মোক্ষম জবাব পেয়েছে। এরপর হাইকোর্টে জবাব পাবে। এরপর রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জবাব পাবেন।
তাঁর বিরুদ্ধে যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে তা নিয়ে কৌস্তভ বলেন, যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটাও দাঁড়ায় না। রাজ্য সরকার এক জবাব হাইকোর্টে পাবে। কীভাবে নাস্তানাবুদ হয় তা তারা দেখতে পাবে। কৌস্তভ বাগচী ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। আইনগতভাবে এর মোকাবিলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে দেব কৌস্তভ বাগচী কী জিনিস।