Anubrata Mandal: জামিন খারিজ; ১ লাখ টাকা জরিমানা, দিল্লি যেতেই হচ্ছে অনুব্রতকে
অনুব্রত মন্ডলের ওজন ৯১ কেজি থেকে বেড়ে হল ৯৫ কেজি। পালস রেট রয়েছে ৮৮, ব্লাড প্রেসার ১০৬ /৮০। অক্সিজেন লেভেল রয়েছে ৯৬ শতাংশ। র্যানডাম সুগার টেস্টের ফল ১৩৬। তাঁর ফিসচুলার যে সমস্যা ছিল সেই সমস্যার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালের সার্জেন চিকিৎসক এ আহমেদ চিকিৎসা করেন
অর্নবাংশু নিয়োগী: জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের। পাশাপাশি অনুব্রতকে ১ লাখ জরিমানও করল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে বীরভূমের প্রভাবশালী এই নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। এবার তিহাড় বা দিল্লির জেলেই ঠাঁই হচ্ছে অনুব্রতর। তবে ইডির হাতে আসতে হবে অনুব্রতর ফিট সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুন-বেড়েছে ফিসচুলার সমস্যা, হচ্ছে রক্তপাত! জেলে বসেই কেষ্টর ওজন বাড়ল ৪ কেজি
একই আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে করেছেন অনুব্রত। এটিকে হ্যারাস বলেই মনে করছে আদালত। এর জন্য আজ অনুব্রত মণ্ডলকে ১ লাখ টাকা জারিমানা করল হাইকোর্ট। দ্বিতীয়ত, জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হল। এবং তৃতীয়ত অনুব্রতকে দিল্লি বা তিহাড় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা রইল না তবে তার আগে অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। এটি করাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় থাকা হাসপাতাল বা চিকিত্সকের কাছে। সেখান থেকে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে।
অনুব্রতর আইনজীবী এদিন সোমবার পর্যন্ত তাঁর একটা রক্ষাকবচ চাইছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারপতি। ইডির বক্তব্য ছিল কলকাতা হাইকোর্টের গরিমাকে নষ্ট করেছে অনুব্রত। কারণ তাঁর আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে গিয়ে বলেছেন, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তারা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু সেই মামলা প্রত্যাহার না করে তাঁরা সওয়াল জবাব করেন।
ইডির তরফ থেকে এদিন আদালতে বলা হয় অনুব্রতর চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে এইমসে। পাশাপাশি তাঁকে প্রয়োজন পড়ল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। তবে আদালত আজ নির্দেশ দেয় কলকাতায় কেন্দ্রের অধীনে থাকা হাসপাতাল অনুব্রতকে ফিট সার্টিফিকেট দিলে তবেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মন্ডলের ওজন ৯১ কেজি থেকে বেড়ে হল ৯৫ কেজি। পালস রেট রয়েছে ৮৮, ব্লাড প্রেসার ১০৬ /৮০। অক্সিজেন লেভেল রয়েছে ৯৬ শতাংশ। র্যানডাম সুগার টেস্টের ফল ১৩৬। তাঁর ফিসচুলার যে সমস্যা ছিল সেই সমস্যার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালের সার্জেন চিকিৎসক এ আহমেদ চিকিৎসা করেন। তিনি তার রিপোর্টে লিখেছেন একিউট এমার্জেন্সি কিছু নেই অর্থাৎ এখন সার্জারি করার প্রয়োজন নেই। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিত কুমার চন্দ চিকিৎসা করেন। এবার তাঁকে পরীক্ষা করবেন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা হাসপাতাল বা চিকিত্সকরা।