ফেসবুকে পালটা প্রচারে এবার কংগ্রেসও

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে পাল্টা প্রচার শুরু করল প্রদেশ কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থনের জন্য একটি ফেসবুক পেজ বানানো হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সাইবার সেলের তরফে রবিবার ফেসবুক পেজটি বানানো হয়েছে। ফেসবুকের এই পাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুকের পোস্টগুলির সমালোচনা করা হয়েছে।

Updated By: Jun 19, 2012, 11:24 AM IST

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে পাল্টা প্রচার শুরু করল প্রদেশ কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থনের জন্য একটি ফেসবুক পেজ বানানো হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সাইবার সেলের তরফে রবিবার ফেসবুক পেজটি বানানো হয়েছে। ফেসবুকের এই পাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুকের পোস্টগুলির সমালোচনা করা হয়েছে। রাজনীতিতে যে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই জটিল কূটনীতির আশ্রয় নিতে হয় এবং তা যে ঐতিহাসিক ভাবে সত্য সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমন কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে ক্ষেত্র বিশেষে সেই পথ অবলম্বন করেছেন সে ইঙ্গিতও মিলেছে প্রদেশ কংগ্রেস সাইবার সেলের এই পেজটিতে।

অন্যদিকে, গতকালই কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রেখে এ পি জে আবদুল কালামের পক্ষেই ফের সওয়াল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুদিনের মতো, এবারেও ফেসবুকেই।
সোমবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে এপিজে আবদুল কালামকে খোলা চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন কালাম ছিলেন জনতার রাষ্ট্রপতি। তিন চার দিনের অপেক্ষার পর রাষ্ট্রপতি পদে কালামকে দেখতে চাওয়া সাধারণ মানুষের উদাত্ত আহবানকে অস্বীকার করেছে কিছু রাজনৈতিক দল। তাঁর নৈতিকতা প্রশ্নাতীত বলেও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গেই নাম না করে ফের সোনিয়া-মুলায়মকে বিঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, কয়েকজন রাজনীতিক নীতি বিসর্জন দিয়েছেন। মানুষ একদিন এই সব রাজনীতিকদের জবাব দেবে বলেও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকের খোলা চিঠিতে তিনি এও বুঝিয়ে দিয়েছেন, কালামকে মনোনীত করে তাঁরা কোনও ভুল করেননি।
একই সুর শোনা গেছে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়ও। সোমবার টাউন হলে তৃণমূলও কংগ্রেসের সাংসদ ও বিধায়কদের বৈঠক শেষে সুদীপবাবু বলেন, তাঁরা কালামকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে, নতুন রণকৌশল ঠিক করতে ফের আলোচনায় বসবে তৃণমূল। তবে এখনই ইউপিএ ছেড়ে বেরোচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। সমঝোতার সুরেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকারে দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক হিসেবেই কাজ করবে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তৃণমূলের মন্ত্রীদের ইস্তফাপত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এই জল্পনাও উড়িয়ে দেন তিনি। তবে একই সঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যেকোনও সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে তৈরি রয়েছেন দলের মন্ত্রীরা।

.