রূপার দাপাদাপিতে দলের অন্দরেই কোণঠাসা রাজ্য সভাপতি রাহুল
২০১৬ বিধানসভা ভোটে রাহুল সিন্হার পাশাপাশি কি বিজেপির মুখ হতে চলেছেন রূপা গাঙ্গুলিও? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে গেরুয়া শিবিরে। তথাগত রায় ত্রিপুরার রাজ্যপাল হওয়া পর সম্প্রতি তাঁর সম্মানে শহরে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন এক বিশিষ্ট শিল্পপতি। ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির সব নেতাই। যান রূপা গাঙ্গুলিও। সূত্রের খবর, রূপাকে ঢুকতে দেখেই বেরিয়ে যান রাহুল সিন্হা। এরপরই গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক দৌড়ে কে এগিয়ে রাহুল না রূপা তা নিয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: ২০১৬ বিধানসভা ভোটে রাহুল সিন্হার পাশাপাশি কি বিজেপির মুখ হতে চলেছেন রূপা গাঙ্গুলিও? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে গেরুয়া শিবিরে। তথাগত রায় ত্রিপুরার রাজ্যপাল হওয়া পর সম্প্রতি তাঁর সম্মানে শহরে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন এক বিশিষ্ট শিল্পপতি। ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির সব নেতাই। যান রূপা গাঙ্গুলিও। সূত্রের খবর, রূপাকে ঢুকতে দেখেই বেরিয়ে যান রাহুল সিন্হা। এরপরই গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক দৌড়ে কে এগিয়ে রাহুল না রূপা তা নিয়ে।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বহু মানুষই বিজেপিতে যোগ দেন। কার্যত তাঁদের সঙ্গে পুরনো বিজেপি নেতৃত্বের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপির একাংশের মতে এরা সুখের পায়রা। অথচ দলে এখন এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাধান্য পাচ্ছে। রূপা গাঙ্গুলির মত অভিনেত্রী কিন্তু যোগ দেননি কলকাতায়। দিল্লিতে যোগ দিয়েছিলেন রূপা। রূপার যোগদান নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল রাজ্যের তাবড় নেতাদের মধ্যেও। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের ওজর আপত্তি উড়িয়ে রূপাকে নিয়ে আসেন। সেই রূপা এখন রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিজেপির হয়ে। যেখানে গণ্ডগোল সেখানেই পৌছে যাচ্ছেন রূপা গাঙ্গুলি। তবে কি ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে মুখ হতে চলেছেন রাহুলের পাশাপাশি রূপা। দলের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও ২০১৬ বিধানসভার নির্বাচনে রাহুল সিন্হাকে সামনে রেখে লড়তে চায় না আরএসএস। কিন্তু রাহুল সিন্হার বিকল্প কখনও রূপা গাঙ্গুলি হতে পারেন না। এ ব্যাপারে আরএসএসের পরিষ্কার ব্যাখ্যা হল গুজরাত দাঙ্গার মুখ কুতুবউদ্দিন আনসারি যখন কলকাতায় আসেন তাঁকে রাখি পড়িয়েছিলেন রূপা। সেই দাগ ভোলার নয়। তবুও দলের মধ্যে কোণঠাসা রাহুলের সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন রূপা। এই থেকেই শুরু হয়েছে রাহুল-রূপার নতুন দ্বন্দ্ব। কার্যত বিজেপির রাজ্য সভাপতি এড়িয়ে চলছেন রূপা গাঙ্গুলিকে। তিনি চাইছেন না তাঁর নামের পাশে ২০১৬ নাম আসুক রূপার।
এগিয়ে রূপা। দ্রৌপদীর ভূমিকায়, জনপ্রিয় অভিনেত্রী, পরিচিত মুখ, নতুন দের মধ্যে সবথেকে বেশি সক্রিয় তিনি। যার কথা মিডিয়া গুরুত্ব দিচ্ছে।
পিছিয়ে রাহুল। দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ।ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন। আরএসএসের হাত ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে তার মাথার ওপর থেকে। এই অবস্থায় মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছেন রূপা।
২০১৪-এর পর আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেভাবে রাজ্যসভাপতি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোচ্ছিলেন। বিজেপির একাংশের মত রূপাও কিন্তু সেই দৌড়ে কাছাকাছি এগিয়ে গেছেন। এখানেই সবথেকে বড় চিন্তা রাহুল সিন্হার পরিচিত গোষ্ঠীদের। তাই রাহুল না রূপা কে হবেন বিজেপির মুখ ? তা নিয়ে নতুন করে বিজেপিতে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব । পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাউকেই মুখ করবেন না। এমন সম্ভাবনাও মাথাচারা দিচ্ছে।