Pavlov Hospital: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পাভলভ হাসপাতালের মানসিক রোগীরা, শোকজ করা হল সুপারকে
সুপার গোটা বিষয়টিরই দায় চাপান কর্মী সংখ্যার ঘাটতিতে
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: পাভলভ হাসপাতালে মানসিক রোগীদের মর্মান্তিক পরিস্থিতি। গত এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্যভবনের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা পরির্দশন করেন রাজ্যে উপরের সারিতে থাকা এই মানসিক হাসপাতাল। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে একের পর এক শিউরে ওঠার মতো তথ্য। এরই পরপ্রেক্ষিতে পাভলভের সুপার গণেশ প্রসাদকে শোকজ করেছেন ডিরেক্টর অব পাবলিক হেলথ। বিস্তারিত সেই রিপোর্ট উল্লেখ করে গণেশ প্রসাদের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে এত বেনিয়ম ধরা পরার পরও কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
কী আছে সেই রিপোর্টে
দু'টি ঘরে ১৩ জন মহিলা আবাসিককে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে। একটি ঘরে ৯ জন এবং অন্য ঘরে ৪ জনকে রাখা হয়েছিল। অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে, নোংরা দুটি ঘর। ঘরের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা লোহার ধারালো অংশ। আবাসিকদের সারা শরীরে ঘা। ক্ষতচিহ্ন। ঝরছে পুঁজ।
আবাসিকেরা কী অবস্থায় রয়েছেন তা দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি কোনও চিকিৎসক, নার্স এবং সুপার। কী কারণে তাদের ওইভাবে রাখা হয়েছে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি হাসপাতালের কর্মীরা।
আবাসিকদের খাবারের গুণমান এবং পরিমাণ— দুই নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন।
অপরিষ্কার পাত্রে অস্বাস্থ্যকর, দুর্গন্ধ যুক্ত খাবার দেওয়া হয়েছে আবাসিকদের।
আবাসিকেরা তালাবন্দি কেন?
স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকের প্রশ্নের উত্তরে কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফ জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে আবাসিকদের তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে। যদিও লিখিত কোনও প্রমাণ পাভলভ কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি স্বাস্থ্যকর্তাদের। প্রশ্ন উঠছে এভাবেই কী কোনও মৌখিক নির্দেশে চলছে পাভলভ?
ডায়েট কমিটি বলে কিছু নেই। রোগীদের ওজনের নিরিখে প্রতিদিনের ডায়েট চার্টের কোনও বালাই নেই।
সুপার গোটা বিষয়টিরই দায় চাপান কর্মী সংখ্যার ঘাটতিতে।
এদিকে, এই অবস্থা দিনের পর দিন কীভাবে চলল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রোগীদের যে পুষ্টিগুণের কথা বলা হচ্ছে সেই পুষ্টির জন্য় স্বাস্থ্য দফতর কি যথাযত ব্যবস্থা নিয়েছিল?
এনিয়ে মনরোগ বিশেষজ্ঞ অলকানন্দা দত্ত বলেন, ওখানে কী হয়েছে তা ঠিক জানি না। তবে যারা ওখানে রয়েছেন তাদের বাধ্য হয়েই ওখানে রাখতে হয়েছে। ওখানে চিকিত্সার পাশাপাশি রোগীদের একটা ভালো পরিবেশ দিতে হবে। তবে শুধুমাত্র চিকিত্কদের দিয়ে রোগীদের সম্পূর্ণ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য আরও অনেক সংগঠনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-'কৃষি আইনের মতো অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারেও বাধ্য হবেন মোদী', তোপ রাহুলের