মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্জাবযাত্রা নিয়ে বিভ্রান্তি
উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর টালবাহানার পর অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একথা জানানো হল। বিধানসভার অধিবেশন থাকায় তিনি যেতে পারবেন না। দলের তরফে চণ্ডীগড়ে প্রকাশ সিং বাদলের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন কে ডি সিং এবং রচপাল সিং। লখনউতে অখিলেশ যাদবের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন সুলতান আহমেদ।
উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর টালবাহানার পর অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একথা জানানো হল। বিধানসভার অধিবেশন থাকায় তিনি যেতে পারবেন না। দলের তরফে চণ্ডীগড়ে প্রকাশ সিং বাদলের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন কে ডি সিং এবং রচপাল সিং। লখনউতে অখিলেশ যাদবের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন সুলতান আহমেদ। তবে শিরোমণি অকালি দলের মতো এনডিএ শরিক দলের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের যোগদানকে ভাল চোখে দেখছে না কংগ্রেস। এ ব্যাপারে নাম না-করলেও রীতিমতো কড়া বার্তা দিয়েছে তারা।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ওপর আরও বেড়েছে শরিকি চাপ। চণ্ডীগড় ও লখনউয়ে ১৪ এবং ১৫ মার্চ দুটি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জল্পনাও দানা বাঁধে। বিশেষ করে চণ্ডীগড়ে এনডিএ শরিক প্রকাশ সিং বাদলের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তৃণমূলের যোগদান যে তাদের মনপুতঃ নয়, তা স্পষ্ট করে দেয় কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করা উচিত নয় শরিকদের। এমন কিছুই করা উচিত নয় যাতে জোটধর্ম ক্ষুন্ন হয়। নাম না-করলেও কংগ্রেসের এই সমালোচনার লক্ষ্য যে তৃণমূল তাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চণ্ডীগড় ও লখনউয়ে যাবেন কি না তা নিয়ে দিনভর বিভ্রান্তি চরমে ওঠে। একবার টুইটে ডেরেক ওব্রায়ান জানান, "মুখ্যমন্ত্রী যাবেন।" পরে টুইট করেন, "মুখ্যমন্ত্রী যাবেন না।" বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডেরেক ওব্রায়ানের টুইটকে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বলে উড়িয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। ফলে ধোঁয়াশা আরও বাড়ে। শেষপর্যন্ত দিনভর টালবাহানার পর তৃণমূলের তরফে জানানো হয়,
চণ্ডীগড় বা লখনউয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন না। চণ্ডীগড়ে যাবেন কে ডি সিং এবং রচপাল সিং। লখনউয়ে যাবেন সুলতান আহমেদ। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তৃণমূলের এই কৌশলী পদক্ষেপ কি দুকূল বজায় রাখার চেষ্টা? নিজে না-গিয়ে যেমন কংগ্রেসকে তুষ্ট রাখলেন, তেমনই দলের প্রতিনিধি পাঠিয়ে শিরোমণি অকালি দল বা সপার সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তাটাও খোলা রাখলেন তৃণমূলনেত্রী?