ওনাকে অপমান করার ইচ্ছা নেই, মায়াকান্না করছেন রাজ্যপাল, বিস্ফোরক পার্থ
সম্প্রতি করোনা আবহে ইউজিসি-র পরীক্ষা নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন ধনখড়। সে বিষয়ে টুইট করে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন : "ওনাকে অপমান করার ইচ্ছা নেই," প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুরুতেই জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের একগুচ্ছ অভিযোগের উত্তরে পাল্টা জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিষয় ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্যপালের ডাকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দিতে রাজি হননি একজনও। আর তারপরেই সরকার ও শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন ধনখড়।
উপাচার্যদের যোগ দিতে না চাওয়ার প্রসঙ্গে 'শিক্ষাকে রাজনৈতিক খাঁচাবন্দি করা হচ্ছে' বলে টুইট করেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে গিয়েছে বলেও ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্যপাল। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "সরকারি কলেজে ভর্তির সময়ে প্রতি বছর প্রচুর উপরি টাকা নেওয়া হয়।" তার উত্তরেই এদিন পাল্টা জবাব দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "উনি যে নিয়ম বলেছেন তা সত্য নয়," বৈঠকে উপাচার্যদের ডাকার বিষয়ে বলেন তিনি। পার্থ বলেন, "ওনাকে অপমান করার ইচ্ছা নেই, কিন্তু সত্যের অপলাপ করছেন।"
রাজ্যের অনুমতি ছাড়া রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে উপাচার্যদের যোগ না দেওয়া বিধিসম্মত বলেই জানান শিক্ষামন্ত্রী। সাম্প্রতিক আইন মেনেই রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা, বলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর এই আইনি দিকটি রাজ্যপালকে জানানো হয়েছিল বলেও জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো ধনখড়কে বোঝাতেও যাওয়া হয়েছিল বলে জানান পার্থ। তিনি বলেন, "ছাত্রদের সমস্যা সরাসরি আমাদের দফতর থেকেই তিনবার জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে, কিন্তু তিনি কিছু জানাননি।" শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা শিক্ষা দফতরকে কেন জানানো হচ্ছে না সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সম্প্রতি করোনা আবহে ইউজিসি-র পরীক্ষা নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন ধনখড়। সে বিষয়ে টুইট করে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি। যদিও এদিন সে বিষয়ে বেশি আলোকপাত করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
এ প্রসঙ্গ তুলে ধরেই পার্থ বলেন, "ইউজিসি নিয়ে উনি কী ব্যবস্থা করেছেন? ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে উদ্বেগ করছেন, এটা মায়াকান্নার মত শোনাচ্ছে।" প্রসঙ্গত, এদিন ইউজিসি মর্মে তিনি কোনও পদক্ষেপের ঘোষণা না করায় ছাত্রছাত্রীদের হতাশা দেখা দেয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, "কোথায় আর্থিক তোষণ হচ্ছে দেখান। আমরা স্কুলে ২৪০ টাকা নিই। কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলে কত নিচ্ছে একটু দেখুন।"