দোলার চড়ের হুমকি খেয়ে পুলিসকর্মী গেলেন ছুটিতে
মেয়রের ভাইঝির পর দোলা সেন। পুলিসকর্মী নিগ্রহে সেই একই ট্র্যাডিশন। টালিগঞ্জের সেই ট্রাফিক পুলিসকর্মীর পর এবার বাগুইআটি ট্রাফিক পোস্টের সিভিক পুলিসকর্মী। তাঁকেও পাঠানো হল ছুটিতে। শাসকদলের নেতাদের নাম জড়ালেই কি তাহলে ছুটির কোপে পড়তে হবে নিগৃহীত পুলিসকর্মীদের?
শুক্রবার রং লেনে যাচ্ছিল দোলা সেনের গাড়ি। আটকেছিলেন কর্তব্যরত পুলিসকর্মী। আর তারপরই তাঁকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের তোপের মুখে পড়তে হয়। পুলিসকর্মীকে চড় মারার হুমকি দেন দোলা সেন। দেওয়া হয় কান ধরে ওঠবোস করানোর ফরমানও। সঙ্গে ছিল দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি। তারপর তিনদিন কাটতে না কাটতেই কার্যত দেখেই নেওয়া হল ওই সিভিক পুলিসকর্মীকে। ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। ঠিক যেমনটি হয়েছিল দেবপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে। টালিগঞ্জে যে পুলিসকর্মী নিগৃহীত হয়েছিলেন, তাঁকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ছুটিতে। এখানেই শেষ নয়। বদলি করে দেওয়া হয়েছিল টালিগঞ্জ থানার তত্কালীন ওসি সৌমেন ভট্টাচার্যকেও।
বাঁকুড়াতেও একই ঘটনা। ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বদলির অর্ডার হাতে পেয়ে গিয়েছিলেন বাঁকুড়া থানার আইসি। শাসকদলের নেতা, কর্মীদের নাম জড়ালেই পুলিস কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া বা ছুটিতে পাঠানোর ট্র্যাডিশন চলছেই। এধরনের পদক্ষেপের জেরে কি ধাক্কা খাচ্ছে না নীচুতলার পুলিসকর্মীদের মনোবল?