সংবাদপত্র ফতোয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন শহরবাসী

কোন সংবাদপত্র তারা পড়বেন, আর কোনটা পড়বেননা, সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত মতামত ও রুচির ওপর নির্ভরশীল। মুখ্যমন্ত্রীর ফতোয়ার বিরুদ্ধে এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিল শহর কলকাতা।

Updated By: Mar 31, 2012, 06:12 PM IST

কোন সংবাদপত্র তারা পড়বেন, আর কোনটা পড়বেননা, সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত মতামত ও রুচির ওপর নির্ভরশীল। মুখ্যমন্ত্রীর ফতোয়ার বিরুদ্ধে এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিল শহর কলকাতা।
আগামী দিনে কোন সংবাদপত্র আমজনতা পড়বে, তাও নির্ধারণ করে দেবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নির্দেশ ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করেছে শহর কলকাতায়। শহরবাসী একবাক্যে অভিযোগ করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ প্রকারান্তরে ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের ওপর খবরদারি এবং পাঠকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কেউ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বললেন, "এর পর থেকে কোন পথ দিয়ে যাব, সেটাও তো মুখ্যমন্ত্রী বলে দেবেন।" কারও মতে আবার, "রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে এই এই মনোভাবের প্রতিবাদ করা উচিত। আর মোমবাতি হাতে বুদ্ধিজীবীরা কোথায়? তাঁরা এখন সরকারি চাকুরে বলে কি মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন?" অনেকে আবার বললেন, "আমি কোন কাগজ পড়ব, আর কোনটা পড়ব না, তা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করে দেবেন? এটাকেই তো গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ বলে।" তবে সবাই সমস্বরে বলেন, তাঁরা কোন কাগজ পড়বেন তা কেউ ঠিক করে দিতে পারেন না।
 

সংবাদপত্র বিক্রেতারা বলছেন মুখ্যমন্ত্রীর অপছন্দের `আনন্দবাজার পত্রিকা` ও `বর্তমান` বিক্রির নিরিখে শীর্ষে। পাঠকরাও বলছেন, তারা সেই ২টি সংবাদপত্রই নিয়মিত পড়েন। সেই অভ্যাস বদলানোর চেষ্টা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শুরু হলে তা কোনওমতেই মানবেননা তারা।
টালা থেকে টালিগঞ্জ, হালতু থেকে হাতিবাগান, মুখ্যমন্ত্রীর ফতোয়ায় ব্যথিত সবাই। ক্ষোভে ফুঁসছেন কলকাতাবাসী। তাঁদের মতে, তাঁরা কোন সংবাদপত্র পড়বেন, তা ঠিক করে দেওয়ার কোনও অধিকার মুখ্যমন্ত্রীর নেই।
 

.