গ্রন্থাগার নির্দেশিকা: সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শিল্পী-সাহিত্যিকরা

সরকারি পাঠাগারের জন্য মহাকরণ নির্দিষ্ট সংবাদপত্রের তালিকা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তার ওপর নির্দেশিকায় মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি আছে জানার পর সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা। কেউ বলছেন, সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী, কেউ ব্যখ্যা করছেন অগণতান্ত্রিক বলে। তবে পাঠক তাঁর পছন্দের সংবাদপত্র বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস সকলের।

Updated By: Mar 30, 2012, 04:57 PM IST

সরকারি পাঠাগারের জন্য মহাকরণ নির্দিষ্ট সংবাদপত্রের তালিকা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তার ওপর নির্দেশিকায় মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি আছে জানার পর সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা। কেউ বলছেন, সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী, কেউ ব্যখ্যা করছেন অগণতান্ত্রিক বলে। তবে পাঠক তাঁর পছন্দের সংবাদপত্র বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস সকলের।
তিলোত্তমা মজুমদার (সাহিত্যিক)
প্রথম কথা, সরকারের তরফ থেকে খবরের কাগজ নিয়ে যে ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাকে আমি অত্যন্ত নিন্দনীয় মনে করি এবং প্রতিবাদ জানাই এরকম স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ থেকে বেরিয়ে এসে আমরা এই মুহূর্তে চাই যাতে এই ধরনের নিন্দনীয় ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার এই যে প্রবণতা, এই অগণতান্ত্রিক মানসিকতাকে মানুষ কখনই মেনে নেবে না বলেই আমার বিশ্বাস।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (সাহিত্যিক)
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। কিন্তু মানুষ কী পড়বে না-পড়বে সেটা মানুষের নিজের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। সেটা তো কোনও ভাবে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মানুষ নিজের পছন্দে কাগজই পড়বে। কাজেই এটা একটা সাজেশন হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সাজেশন দিতে পারেন, কিন্তু সেটা মানুষ গ্রহণ না-ও করতে পারে।নেবে কি নেবে না তা মানুষের ওপর নির্ভর করে।

জগন্নাথ বসু (বাচিকশিল্পী)
আমার কাছে খুব ছেলেমানুষি মনে হচ্ছে। জরুরি অবস্থার সময় আমি আকাশবাণীতে ছিলাম, তখন দেখেছি অনেক বেশি নির্দেশ আসত। লিখিত নয়, নির্দেশগুলো মৌখিক ভাবে আসত। সেগুলি পালন করতে আমাদের খুব কষ্ট হত। কিন্তু কখনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। কিন্তু কোন কাগজ পড়া যাবে, মুখ্যমন্ত্রী তো তা নিয়ে লিখিত নির্দেশ দিয়ে দিলেন।

.