ধোঁয়া তহবিল ধোঁয়াশায় সারদা ক্ষতিপূরণ আঁধারেই
সারদাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল সিগারেটের ওপর কর বসিয়ে বিশেষ তহবিল গড়বে সরকার। কিন্তু বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা এই বাড়তি অর্থ খরচ করা হবে স্বাস্থ্য খাতে। তাহলে কি হবে সারদাফাণ্ডের? কীভাবে আসবে অর্থ? শনিবারের পর এই প্রশ্নগুলিই উঠতে শুরু করেছে।
সারদাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল সিগারেটের ওপর কর বসিয়ে বিশেষ তহবিল গড়বে সরকার। কিন্তু বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা এই বাড়তি অর্থ খরচ করা হবে স্বাস্থ্য খাতে। তাহলে কি হবে সারদাফাণ্ডের? কীভাবে আসবে অর্থ? শনিবারের পর এই প্রশ্নগুলিই উঠতে শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের বুকে সবথেকে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা। সারদার বিভিন্ন ব্যবসায় নিজেদের শেষ সম্বলটুকু তুলে দিয়ে সর্বস্বান্ত হয় কয়েক হাজার মানুষ। জড়িয়ে যায় শাসকদলের বেশ কয়েকজন সাংসদ, নেতা মন্ত্রীর নামও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ততক্ষনাত পাঁচশো কোটি টাকার তহবিল গড়ার ঘোষণা করেন। সিগারেটের ওপর ৩৫ শতাংশ কর বসিয়ে দেড়শো কোটি টাকা অর্থ আদায়ের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কিছুর ওপর তিরিশ শতাংশের বেশি কর আদায় করতে গেলে আলাদা বিল পাশ করাতে হয়। শনিবার সেই বিলটি বিধানসভা থেকে পাশ করিয়ে নিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সেখানেই? (অমিত মিত্র জানান এই বাড়তি অর্থ স্বাস্থ্যদফতরের জন্য খরচ করা হবে।) শনিবারের বিধানসভার এক দিনের অধিবেশনে কিন্তু একবারের জন্যও সারদাকাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি অমিত মিত্র। প্রশ্নটা উঠেছে এখানেই। কেন এমনটা হল? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের এই ফারাক কেন? তাহলে কি সারদাকাণ্ডের জন্য টাকা তোলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছে সরকার?
সবটাই কি তাহলে সেদিন ছিল কথার কথাই? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। শনিবার ৬৩টি দফতরের বাজেটকে গিলোটিনে পাঠিয়েছে সরকার। বিধানসভায় হাজির থাকলেও একমাত্র স্বাস্থ্য দফতরের বাজেটে অংশ নেন নি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে অমিত্র মিত্রের ভাষণের ফারাক। প্রশ্নের মুখে সারদাকাণ্ডে সর্বহারা মানুষদের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি।