সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শহরে চাইন্ড পর্নোগ্রাফির রমরমা; গ্রেফতার ২

Updated By: Aug 31, 2017, 03:43 PM IST
সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শহরে চাইন্ড পর্নোগ্রাফির রমরমা; গ্রেফতার ২

ওয়েব ডেস্ক : রুপোলি পর্দার হাতছানি। আর তাতেই বিপদ। অডিশনের নামে ন্যুড ফটোশুট। তারপর সেই নগ্ন ছবিই পৌছে যাচ্ছে দেশ থেকে বিদেশে। এই শহরেই চলছে চাইল্ড পর্নোগ্রাফিরও রমরমা ব্যবসা। CID তদন্তে অসাধু চক্রের পর্দা ফাঁস। ইতিমধ্যেই দু'জন গ্রেফতার। গোয়েন্দাদের সন্দেহ টলিউডের সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তিও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দারা এখন বড় মাথাদের খোঁজে।

একের পর এক রূপোলি পর্দার হাতছানি। আর সেখানেই অডিশন দিতে গিয়ে সর্বনাশ। মহিলাদের নগ্ন ছবি তুলে চলছে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা। রেহাই নেই শিশুকন্যাদেরও। কার্যত স্বপ্নের দুনিয়ায় পা দেওয়ার সুযোগ। তাই সাদা-কালোর তফাত চোখে পড়ে না। সিনেমায় সুযোগ পেতে অডিশন। সেই ফটোশ্যুটই শেষ করে দিচ্ছে হাজারো মহিলার জীবন।

আরও পড়ুন- সিন্ডিকেট রাজের 'সৌজন্যে' বন্ধ রাজ্যের প্রথম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল তৈরির কাজ

সম্প্রতি, মা-বাবার সঙ্গে অডিশন দিতে দিঘায় গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ৯ বছরের এক শিশুকন্যা। তদন্তে নামে সিআইডি। সেই সূত্রেই উত্তর ২৪ পরগনার এক স্টুডিওয়ে হানা দেন গোয়েন্দারা।

উদ্ধার হয় ৩৪ জন মহিলা ও শিশুর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ক্লিপিংস। এঁদের মধ্যে ১৬ জন মহিলার বয়ান রেকর্ড করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তে উঠে এসেছে টলিউডের এক ফাইট মাস্টার ও কোরিওগ্রাফারের নাম। তাঁদেরও খোঁজ চলছে।

শেখ হিদায়েত আলি নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিজেকে ফাইটমাস্টার বলে পরিচয় দিত সে। গোয়েন্দাদের জালে হরেকৃষ্ণ ঢালি নামে এক চিত্রগ্রাহকও রয়েছে। গোটা তদন্তের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ADG-CID। CID-র ইন্সপেক্টর কাকলি ঘোষকুণ্ডু মাঠে নেমে তদন্ত করেন। গোয়েন্দারা জেনেছেন, বাংলা সিনেমায় সুযোগ পেতে অডিশনের নাম করে মহিলাদের ডেকে পাঠাত দুষ্কৃতীরা। শিশুদের নিয়ে আসার জন্যও অভিভাবকদের বলা হতো। মহিলাদের হুমকি দেওয়া হতো, ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেতে হলে নগ্ন ছবি তোলাতেই হবে।

অভিভাবকদের আড়ালে সুযোগ মতো শিশুদের ছবিও তুলে নেওয়া হতো। টাকার বিনিময়ে মহিলাদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়া হত দেশ-বিদেশে। পেন ড্রাইভ-সিডি-তে ছড়িয়ে দেওয়া হতো চাইল্ড পর্নোগ্রাফি। ধৃতদের জেরা করে চক্রের বড় মাথাদের খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের সন্দেহ এই ৩৪ জন ছাড়াও অন্য মহিলাদের নগ্ন ছবি ইতিমধ্যেই বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব ছবি, ভিডিও ক্লিপিংসই এখন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

.