শিশুমৃত্যু কাণ্ডে গাফিলতি স্বীকার করে নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
হাসপাতালে সুবিচার না পেয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দুই সন্তানহারা বাবা মা। আজ সকালে মেডিক্যাল কলেজে অভিযোগ জানাতে গিয়ে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয় অষ্টম-আফরিনদের। অভিযোগ নেননি সুপার। মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেন অধ্যক্ষ। বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসে দুই বাবা মা। সরকারি হাসপাতালের অমানবিক মুখের সঙ্গে আগেই পরিচয় হয়েছে ওঁদের। চিকিত্সক- নার্সদের চরম গাফলতিতে ওয়ার্মারে পুড়ে গেছে প্রথম সন্তান।
ওয়েব ডেস্ক: হাসপাতালে সুবিচার না পেয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দুই সন্তানহারা বাবা মা। আজ সকালে মেডিক্যাল কলেজে অভিযোগ জানাতে গিয়ে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয় অষ্টম-আফরিনদের। অভিযোগ নেননি সুপার। মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেন অধ্যক্ষ। বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসে দুই বাবা মা। সরকারি হাসপাতালের অমানবিক মুখের সঙ্গে আগেই পরিচয় হয়েছে ওঁদের। চিকিত্সক- নার্সদের চরম গাফলতিতে ওয়ার্মারে পুড়ে গেছে প্রথম সন্তান।
সন্তান হারানোর লিখিত অভিযোগ জানতে গিয়েও মেডিক্যাল কলেজে চরম হেনস্থা হতে হল। সকাল থেকে মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষের দোর দোরে ঘুরলেন সন্তানহারা বাবা মা। অভিযোগ নিলেন না কেউই। সকালে অষ্টম বাগদি-আফরিন খাতুনরা পৌছলেন হাসপাতাল সুপারের ঘরে। পাহারায় থাকা পুলিস জানাল ঘরে নেই সুপার। কোথায় গেলেন সুপার? আমাদের প্রতিনিধিরা খোঁজ নিতে জানলেন সুপার রয়েছেন অধ্যক্ষের ঘরে।
সন্তানহারা দুই বাবা-মা তড়িঘড়ি ছুটলেন অধ্যক্ষের ঘরে। না এবারও অনুমতি মিলল না। বাইরে বসা থাকা কর্মীকে অনুনয় বিনয় করতেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ...সুপার দেখা করবেন না। ঘরের দরজাও সপাটে বন্ধ করে দিলেন তিনি।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হল। শেষপর্যন্ত সাধারণ রিসিভিং সেন্টারে অভিযোগ জমা দেয় দুই পরিবার। বিকেলে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জমা দেয় পরিবার। মেডিক্যাল কলেজে শিশুমৃত্যু কাণ্ডে গাফিলতি স্বীকার করে নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের তরফে শুরু করা তদন্তের কাজ শেষ হয়েছে। ওয়ার্মারে পুড়েই যে দুই শিশুর মৃত্যু, তদন্ত রিপোর্টে তা প্রমাণিত। প্রমাণিত একাধিক ব্যক্তির গাফিলতিও প্রমাণিত। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে চূড়ান্ত ব্যবস্থা। আজ তদন্তে রিপোর্ট প্রথমে পৌছয় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে। তিনি তা পাঠিয়ে দেন স্বাস্থ্য সচিবের কাছে। পরে রিপোর্ট পৌছয় নবান্নে। হাসপাতাল সুপার কথা না শোনায় আগেই নবান্নর দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃত দুই শিশুর বাবা মা।