মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, শহর থেকে শুয়োর হঠাতে হবে, অভিযানে নাজেহাল পুরসভা
এনসেফ্যালাইটিস ঠেকাতে শুয়োর হঠাতে হবে শহর থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশে শুয়োর খেদাও অভিযানে নেমে নাজেহাল কলকাতা পুরসভা। শুয়োরের পাল রাখতে শহর থেকে দূরে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী খোঁয়াড়ও । কিন্তু যেখানে এই খোঁয়াড় তৈরি হয়েছে তা থেকে তৈরি হতে পারে এনসেফ্যালাইটিসের নতুন আঁতুড়ঘর।
কলকাতা: এনসেফ্যালাইটিস ঠেকাতে শুয়োর হঠাতে হবে শহর থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশে শুয়োর খেদাও অভিযানে নেমে নাজেহাল কলকাতা পুরসভা। শুয়োরের পাল রাখতে শহর থেকে দূরে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী খোঁয়াড়ও । কিন্তু যেখানে এই খোঁয়াড় তৈরি হয়েছে তা থেকে তৈরি হতে পারে এনসেফ্যালাইটিসের নতুন আঁতুড়ঘর।
উত্তরবঙ্গে এনসেফ্যালাইটিসে মৃতের সংখ্যা যখন একশো ছুঁইছুঁই, তখন টনক নড়ে রাজ্য সরকারের । অতঃপর নজরবন্দি শূয়োরের পাল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই তত্পর হয় কলকাতা পুরসভা। শহরে শুরু হয় শূয়োর ধরা অভিযান। কিন্তু শূয়োর রাখার খোঁয়াড় কোথায়? শেষপর্যন্ত ধাপায় পুরসভার গ্যারাজেই হল অস্থায়ী খোঁয়াড়। কিন্তু এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ এড়াতে তো শূয়োরের পালই শহর ছাড়া করার কথা।
বাসন্তী হাইওয়ের ধারে চৌবাগায় রীতিমতো সাজ সাজ রব।দেড় বিঘা চাষের জমি কোনও একসময় একটি সংস্থাকে লিজ দিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু শূয়োরের পাল শহরছাড়া করতে হবে বলে কথা। কাজেই সেই সংস্থাকে আপাতত বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওই জমিরই একাংশে শূয়োরের খোঁয়াড় তৈরি করছে পুরসভা। কিছুটা ইটের পাঁচিলে ঘেরা শেষ। বাকি অংশে বেড়া বাঁধাও সারা। কিন্তু এ কোথায় তৈরি হচ্ছে শূয়োরের খোঁয়াড়! খানিক দূরেই সার সার মাছের ভেড়ি। সারা বছরই সেখানে আনাগোনা বক ও পরিযায়ী পাখিদের। ঢিল ছোড়া দূরত্বেই চাষের জমি। বিশেষজ্ঞরা ব লছেন, বক, সারস আর শূয়োরের এমন আদর্শ সহাবস্থানেই নাকি দিব্যি বেড়ে ওঠে এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু।
কিন্তু কে শোনে কার কথা! বেলা একটু গড়াতেই ধাপা থেকে লরিতে চেপে চৌবাগার খোঁয়াড়ে হাজির শূয়োরের পাল। ওরা শহরের চৌহদ্দি ছাড়ল বটে। কিন্তু এনসেফ্যালাইটিসের থাবা থেকে এরপরও অদূরের শহর মুক্তি পাবে কি?