CM As Chancellor Bill: বিধানসভায় পাসের পর এবার রাজভবনে আচার্য বিল
বিলটিতে ভোটাভুটি নিয়ে একপ্রস্থ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। দেখা যায় বিলটি পাস হয়েছে ১৮২-৪০ ভোটে। এরপরই ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
শ্রেয়শী গঙ্গোপাধ্য়ায়: মুখ্যমন্ত্রীই হবেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। এনিয়ে বিধানসভায় বিল পাস হওয়ার পর তা এবার চলে গেল রাজ্যপালের কাছে। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ওই বিলে সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে বিলটি।
গতকাল বিধানসভায় ওই বিলটিতে ভোটাভুটি নিয়ে একপ্রস্থ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। দেখা যায় বিলটি পাস হয়েছে ১৮২-৪০ ভোটে। এরপরই ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, বিলের বিপক্ষে পড়েছে ৫৭টি ভোট। তাহলে বিরোধীদের ভোট ৪০ হয় কীভাবে। এনিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। এমনকি তিনি এমনও দাবি করেন, ওই বিল পড়ে থাকবে রাজ্যপালের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী কোনও দিনই আচার্য হতে পারবেন না।
এদিকে, ওই গোলামালের পরই বিধানসভা থেকে ঘোষণা করা হয় গণনার ভুলেই বিরোধীদের ওই ফল। বিধানসভা সূত্রে জানা যায়, আচার্য বিলের ভোটাভুটিতে পক্ষে ভোট পড়েছে ১৬৭। আর বিপক্ষে পড়েছে ৫৫ ভোট। গণনার সময়ে বিরোধীদের ভোট গণনা করে দেখা যায় তা ৪০। কিন্তু ভোট নথিভূক্ত করার সময়ে দেখা যায় বিধানসভার এক কর্মীর ভুলে ওই ফল হয়েছে। আসলে বিরোধীদের ভোটের সংখ্য়া হবে ৫৫। ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার। ওই কর্মী লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
এদিকে, ওই গোলামালের পরই বিধানসভা থেকে ঘোষণা করা হয় গণনার ভুলেই বিরোধীদের ওই ফল। বিধানসভা সূত্রে জানা যায়, আচার্য বিলের ভোটাভুটিতে পক্ষে ভোট পড়েছে ১৬৭। আর বিপক্ষে পড়েছে ৫৫ ভোট। গণনার সময়ে বিরোধীদের ভোট গণনা করে দেখা যায় তা ৪০। কিন্তু ভোট নথিভূক্ত করার সময়ে দেখা যায় বিধানসভার এক কর্মীর ভুলে ওই ফল হয়েছে। আসলে বিরোধীদের ভোটের সংখ্য়া হবে ৫৫। ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার। ওই কর্মী লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
এখন প্রশ্ন হল রাজ্যপাল ওই বিলে সাক্ষর না করলে কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেক্ষেত্রে অর্ডিন্য়ান্স জারি করতে পারে রাজ্যসরকার। এবার রাজ্যপাল ওই বিলে সাক্ষর করতে পারেন কিংবা তা বিবেচনার জন্য ফের তা বিধানসভায় পাঠিয়ে দিতে পারেন। এরপর বিধানসভা যদি বিলে কোনও বদল না এনেই তা ফের পাস করে ও রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেয় তাহলে তাতে সাক্ষর করতে বাধ্য রাজ্যপাল। এছাড়াও আরও একটি সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি হল, রাজ্যপাল বিলটি বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: আচার্য বিলের ভোটাভুটিতে ছাপ্পা! খুলল 'ভ্যানিশ' বিরোধী ভোটের জট