SSC Recruitment Scam: পার্থর পিএইচডি-র ঠিকানা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সিবিআই হানা
শিলিগুড়িতে উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সরকারি বাসভবন ও দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে একযোগে চলল তল্লাশি। একসময়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
বিক্রম দাস: একসময়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শিলিগুড়িতে সরকারি বাসভবন ও দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চালালেন তদন্তকারী। সিল করে দেওয়া হল বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্য়াটও।
রাজ্য শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেল হেফাজতে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। রেহাই পাননি এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও কমিটির সদস্য অশোক সাহা। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে দু'জনকেই। কেন? গ্রেফতারির আগে নিজাম প্যালেস তাঁদের সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর আধিকারিকরা। শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহার বক্তব্যে বিস্তর অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Health: অবশেষে কাটল জট, শূন্যপদে এবার নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের
এদিন সকালে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ক্য়াম্পাসে ভিতরেই উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যে সরকারি বাসভবন। সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। এমনকী, দক্ষিণ কলকাতায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যে বাড়িতেও পৌছে যায় সিবিআই। বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটটি তখন তালাবন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও কাউকে পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তখন তোলপাড় চলছে রাজ্যে। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছরের মে মাসে আচমকাই ইস্তফা দেন এসএসসির তৎকালীন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাও দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই! এরপর স্রেফ ইস্তফাপত্র গ্রহণ করাই নয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার নয়া চেয়ারম্যান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দেয় রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: West Bengal Primary Board: ঢেলে সাজানো হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ, মানিকের জায়গায় সভাপতি পদে গৌতম পাল
এদিকে চেয়ারম্যান বদলের পর তথ্য-প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক মামলাকারী। সল্টলেকে এসএসসি-র দফতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানান তিনি। নজিরবিহীনভাবে মধ্যরাতেই সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। এসএসসি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফকে দেয় আদালত। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টে সিসিটিভি ফুটেশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এসএসসি সচিবকে।
এদিকে এসএসসির গ্রুপ ডি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগেও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মামলাকারীর দাবি, প্য়ানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। কীভাবে? হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বাগ কমিটি। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি। তাদের নাম প্য়ানেলে বা ওয়েটিং লিস্টে ছিল না। তখন এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য।