সারদায় জড়িত প্রভাবশালীদের ধরতে এবার পঞ্চম এফআইআর দায়ের করছে সিবিআই
সারদাকাণ্ডে জড়িত প্রভাবশালীদের নাগাল পেতে এবার পঞ্চম এফ আই আর দায়ের করতে চলেছে সিবিআই। ওই এফআইআরের সুবাদেই সারদাকাণ্ডে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এবার জেরাও করতে চান সিবিআই কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে ওই এফ আই আরে সরাসরি অভিযুক্ত করা হবে বলে খবর। সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষদেরও ফের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। সেই লক্ষ্যে নতুন ওই এফআইআর কাজে লাগানো হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে করেন সিবিআই কর্তারা। সেখানেই তদন্তের পরবর্তী ধাপ হিসাবে নতুন এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওয়েব ডেস্ক: সারদাকাণ্ডে জড়িত প্রভাবশালীদের নাগাল পেতে এবার পঞ্চম এফ আই আর দায়ের করতে চলেছে সিবিআই। ওই এফআইআরের সুবাদেই সারদাকাণ্ডে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এবার জেরাও করতে চান সিবিআই কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে ওই এফ আই আরে সরাসরি অভিযুক্ত করা হবে বলে খবর। সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষদেরও ফের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। সেই লক্ষ্যে নতুন ওই এফআইআর কাজে লাগানো হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে করেন সিবিআই কর্তারা। সেখানেই তদন্তের পরবর্তী ধাপ হিসাবে নতুন এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ক দিন আগে মধ্যমগ্রামে সারদা গোষ্ঠীর একটি শপিং মলের হদিশ পেল ইডি। রতিকান্ত বসুকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রেই সারদার এই সম্পত্তির হদিশ মেলে। ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে ইডি। তারা-সহ চারটি চ্যানেল কেনা নিয়ে রতিকান্ত বসুর সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের মউ সই হয়। তবে ওই মউ ছাড়াও দুজনের মধ্যে নগদ টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুণাল ঘোষসহ এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ওই লেনদেনে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলেও তদন্তকারীদের দাবি। রতিকান্ত বসু অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, সুদীপ্ত সেনই তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সুদীপ্তর দেওয়া ৬ কোটির চেক বাউন্স করেছিল বলেও তাঁর দাবি।
কোটি কোটি টাকা সম্পত্তি লুঠ হয়ে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সেই লুঠের প্রমাণই পাওয়া যায় বীরভূমে সারদার কোপাই রিসর্টে। দেখা যায়, কীভাবে মাত্র ২ বছর আগে তৈরি হওয়া বিলাসবহুল রিসর্ট আজ একেবারে ভগ্নস্তূপে পরিণত।
ছোট ছোট মাটির ঘরগুলো সব যেন একেকটা পোড়ো বাড়ি। মাত্র দুবছর আগে তৈরি হওয়া সারদা গোষ্ঠীর কোপাই রিসর্টের এখন এটাই চেহারা। ২০১২ সালের বীরভূমের পারুয়ের সাত্তোর এলাকায় রিসর্টটির উদ্বোধন করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। কটেজ ছেড়ে চলে যান সেখানকার কর্মীরা। একে একে লুঠ হয়ে যায় কটেজের বহু মূল্যবান জিনিস। উনিশে অগাস্ট সিউড়ি আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে সেই সম্মত্তি লুঠের কথাটাই জানিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন।
সুদীপ্ত সেনের এই অভিযোগ জানানোর দিনই কোপাই রিসর্ট ঘুরে দেখ আসেন সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল। মূল গেটের কাঁটাতার কেটে দুষ্কৃতীরা যে নিয়মিত ভেতরে ঢোকে তাও দেখতে পান ওই গোয়েন্দারা। দেখতে পান কিভাবে মাত্র দুবছরে খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে সারদার কোপাই রিসর্ট।