SSC Group D: 'সিবিআই কি কিছুই করছে না'? নিয়োগ মামলায় নতুন করে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
'গ্রুপ ডি-র ৫৪২ জনের মধ্যে কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ? ৫ শতাংশও জিজ্ঞাসাবাদ হল না কেন'? , সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'গ্রুপ ডি-র ৫৪২ জনের মধ্যে কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ? ৫ শতাংশও জিজ্ঞাসাবাদ হল না কেন'? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে সিবিআই। বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেই ষড়যন্ত্র সামনে আসবে। ফাঁকা OMR শিট কত জমা পড়়েছে, তা উদ্ধার করা হোক। সিবিআই কি কিছুই করছে না'? ২ সদস্য়কে সরিয়ে দিয়ে নতুন করে সিট গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। সিটে নিয়োগ করা হল ৪ নতুন সদস্যকে। নেতৃত্বে থাকবেন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। সেবছর গ্রুপ ডি পদে ১৩ হাজার কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। পরীক্ষার পর যথারীতি চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেলও তৈরি করা হয়। সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নাকি চাকরি পেয়েছেন অনেকেই! কীভাবে? গত জুন মাসে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতিতে খুশি নয় আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন যিনি সিবিআইয়ের সিটের দায়িত্ব রয়েছেন, তাঁকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন হাইকোর্টে আসেন তিনি। তদন্ত কতদূর এগোল? সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন বিচারপতি। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ' তদন্তের গতি কমেছে, কেন জানি না। হতে পারে তদন্তকারী অফিসার কম'। স্রেফ ২ অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া নয়, সিটে ৪ নতুন সদস্য নিয়োগ করেন তিনি। সঙ্গে নির্দেশ, '৭ দিনের মধ্যে অখিলেশ সিংকে দিল্লি থেকে কলকাতায় এনে সিবিআইয়ের ডিআইডি করতে হবে। তিনিই সিটের দায়িত্বে থাকবেন। তদন্ত চলাকালীন বদলি করা যাবে না'।
আরও পড়ুন: Haridevpur: রক্ষকই ভক্ষক! মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে সাসপেন্ড এসআই
এদিন হাইকোর্টে মামলা শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, 'গ্রুপ ডি মামলা ১৫ মে ৫৪২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছিলাম। এখনও পর্যন্ত সিবিআই ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কেন এত সময় লাগছে'? জবাবে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এরপর বিচারপতি বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তো ষড়যন্ত্রের কথা জানা যাবে। ২১ দিনের মধ্যে ৫৪২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কত ফাঁকা OMR শিট জমা পড়েছে, সেই তালিকাও জমা দিতে হবে আদালতে'। ২২ নভেম্বর ফের মামলা শুনানি।