Moyna BJP worker Killed: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ; গুলিতেই মৃত্যু, স্বীকার রাজ্যের
Moyna BJP worker Killed: বাড়ি থেকে ওই বিজেপি বুথ সভাপতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। আজ ওই খুনের প্রতিবার মেদিনীপুরের ১০০ জায়গায় অবরোধ করেছে বিজেপি। চলছে ময়না বনধ...
অর্নবাংশু নিয়োগী: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় নিহত বিজেপির বুথ সভাপতির মৃতদেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই ময়নাতদন্ত হবে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে। দেহ আনার ব্যবস্থা করবে পুলিস। এমনটাই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন আদালতে রাজ্য পুলিস জানায় গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মীর।
আরও পড়ুন-বোর্ডের অনুমোদন মিললেই শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা, কমলা লাইনে ফের দৌড়ল মেট্রো রেল
গতকালই ময়নায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন নিহত বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে হবে। এনিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। পুলিস সূত্রে খবর, বিজয়কৃষ্ণের মাথায় বুলেট ক্ষত রেয়ছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিজেপির দাবি ছিল রাজ্য সরকারের হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হলে তাতে জালিয়াতি হতে পারে। কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার আবেদন নিয়ে আজ হাইকোর্টে মামালা ওঠে। এতে আপত্তি করেনি রাজ্য সরকার। তার পরেই আদালতের পক্ষ থেকে বিজয়কৃষ্ণের দেহ দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের আদেশ দেন। বলা হয় যত দ্রুত সম্ভব ওই দেহ কমান্ড হাসপাতালে এনে ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেইসময় রাজ্যের ২ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারেন। গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে।
অন্যদিকে, নিহত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারকে ৪ সপ্তাহ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিস তো থাকবেই। ৪ সপ্তাহের জন্য থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি হবে। ওইদিন ময়না থানাকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালে ময়নাতদন্তের বিস্তারিত তথ্য ও মৃত্যুর তদন্তের অগ্রগতির কথা জানাতে হবে। ঘটনার দিনের কেস ডাইরি আনতে হবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বিজয়কৃষ্ণের।
নিহতের স্ত্রী আজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, রাজ্য পুলিসের উপরে আমি একদম খুশি নই। সিবিআই তদন্ত চাই। আমার স্বামীকে টেন হিঁচড়ে নিয়ে য়াওয়া হচ্ছিল। রড, বাঁশ, ডাং দিয়ে মারা হয়। নিজের চোখে দেখেছি। ওই কাজ করেছে শ্য়ামপদ মণ্ডল, মনোরঞ্জন হাজরা, নন্দন মণ্ডল, স্বপন ভুঁইয়া ওইসময় ছিল।
নিহত বিজেপি কর্মীর আইনজীবী বলেন, প্রথমবার যে ময়নাতদন্ত হয় তাতে সন্তুষ্ট ছিল না পরিবার। তাই তারা আদালতে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে। পরিবার সাফ জানিয়েছে রাজ্য পুলিসের উপরে তাদের কোনও আস্থা নেই। সেই কথা বিচার করে আদালতে আজ নিহত বিজয়কৃষ্ণের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার আইশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেছে না। এখানে ভালচার কালচার চলছে।
ওই রায়ের পর তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। কাশীপুরে মারা যায় অর্জুন চৌরাশিয়া। তখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাতেই ছিলেন। সব কর্মসূচি বাতিল করে তিনি আসেন এবং তদন্ত শুরু হওয়ার আগে বেল দেন এটা পলিটিক্যাল মার্ডার। সেইসময়েও বিজেপি দাবি করেছিল তদন্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে। কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়ে এবং দেখা যায় তা আত্মহত্যা। কিন্তু বিজেপি নোংরা রাজনীতি করার জন্য এসব দাবি করছে।