Suvendu Adhikari | Kolkata Police: গ্রহণ হবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসের মামলা? শুনানি শেষ মুখ্য বিচারকের ঘরে
১৭ এপ্রিল শুভেন্দু অধিকারী মহারাষ্ট্রের প্লেট থাকা একটি বাসের ছবি ট্যুইট করেন। কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ট্যাগ করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কলকাতা পুলিসের কর্মীরা সেই বাসটিকে এসকর্ট করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে পটুয়াপাডা থেকে?’
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা ক্রিমিনাল ডিফেমেশনের মামলা গ্রহনের জন্য শুনানি শেষ হল নগরদায়রা আদালতের মুখ্য বিচারকের ঘরে। মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা, সে রায় পেন্ডিং এখনও।
কী বলা হল মামলা গ্রহণের আবেদনে?
১৭ এপ্রিল শুভেন্দু অধিকারী মহারাষ্ট্রের প্লেট থাকা একটি বাসের ছবি ট্যুইট করেন। কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ট্যাগ করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কলকাতা পুলিসের কর্মীরা সেই বাসটিকে এসকর্ট করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে পটুয়াপাডা থেকে?’
তিনি লেখেন, ‘কয়লা, নিয়োগ দুর্নীতি টাকা, নথি হয়তো কারও অফিস থেকে পাচার করা হচ্ছে’।
ট্যুইটটি দেখে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন কমিশনার। ডিসি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেন ওসি কালিঘাটকে। তিনি তদন্ত করে জানান, সংশ্লিষ্ট বাসটি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচীর জন্য আনা হয়েছে এবং ১৬ তারিখ রাত থেকে ১২১ কালিঘাট রোডেই রাখা রয়েছে। তাই সেটাকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া আসার কোনও প্রশ্নই নেই এবং কোনও পুলিস কর্মী এবং পুলিসের কোনও গাড়িই সেই কাজে ব্যবহার করা হয়নি।
সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেন তাঁরা। ট্যুইটে আরও দাবী করা হয়, ওই বাসটিকে কর্ডন করে দিয়েছে পুলিস। তদন্ত রিপোর্টে ধরা পড়ে, যে পুলিসকর্মীরা সেখানে ছিলেন তাঁরা জেড-প্লাস নিরাপত্তার দায়িত্বে নাইট ডিউটি করছিলেন। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের কাজ করেছিলেন তাঁরা। গাড়িটিকে এসকর্ট করার তথ্যও সত্য নয়।
শুভেন্দু অধিকারী ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পেয়েছিলেন তথ্য যাচাই করতে, তা সত্যেও কলকাতা পুলিস কমিশনার এবং পুলিস বাহিনীকে অবমাননার জন্য ট্যুইটটি করেন। তাই বিনীত গোয়েলের হয়ে রাজ্যের তরফে এই ক্রিমিন্যাল ডিফেমেশনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সেটা গ্রহণ করার আবেদন জানানো হয় চিফ জাজকে।