C V Ananda Bose | Bratya Basu: মধ্যরাতে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের, পালটা 'ভ্যাম্পায়ার' কটাক্ষ ব্রাত্যর!
শিক্ষামন্ত্রীর ‘বিন তুঘলক’ মন্তব্য নিয়ে কড়া মনোভাব। ব্রাত্যর পালটা, 'সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যরাতে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের! শিক্ষামন্ত্রীর ‘বিন তুঘলক’ মন্তব্য নিয়ে কড়া মনোভাব রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। রাজ্যপাল বলেন, "আমার খুশি এই আচরণ করছি। অপেক্ষা করুন। দেখুন আজ মধ্যরাতে কী পদক্ষেপ নিই।" ঠিক এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, গতকালই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেন, "ভেবেছিলাম উনি খিলজি, কিন্তু আদতে দেখছি উনি মহম্মদ বিন তুঘলক।" কাল রেজিস্ট্রার বৈঠকের পর ব্রাত্যর এই মন্তব্যে নতুন করে জলঘোলা হয়। যে মন্তব্যেই কড়া অবস্থান রাজ্যপালের। আসরে নেমে এবার মধ্যরাতে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের। 'দেখুন আজ কী করি!' চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন বোস।
একইসঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর উপাচার্য নিয়োগের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ক্ষুব্ধ হওয়ার প্রসঙ্গেও তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে ভাবিত। কারও অসন্তোষ নিয়ে নয়।' এদিকে রাজ্যপাল যখন তাঁর 'বিন তুঘলক' মন্তব্যের জন্য মধ্যরাতে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন নাম না করে একটি টুইট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যে টুইটে কারও নাম না থাকলেও, ওয়াকিবহল মহলের মতে এই টুইটের নিশানা রাজ্যপালকেই করা হয়েছে! ব্রাত্য লিখেছেন, 'মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় দেখতে থাকুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী আপনারা সতর্ক থাকুন। নিজেদেরকে সাবধানে রাখুন। অধীর আগ্রহে ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষা করছি।'
"See till midnight, see the action"
BEWARE! BEWARE! BEWARE!
New Vampire in the town! Citizens please watch yourselves. Eagerly waiting for the "Rakkhas Prahar", according to Indian Mythology!
— Bratya Basu (@basu_bratya) September 9, 2023
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয়, উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তিনি নিজেও উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই নিয়েই তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাজ্যের ৩১ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বৈঠকে ডেকে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিকাশভবনে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। বাকিরা কেন এলেন না? জানতে চেয়ে প্রত্যেককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর। যাঁরা উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি পাঠাচ্ছে শিক্ষা দফতর। শুধু তাই নয়, সোমবারের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ জবাব দিতে হবে সেই চিঠির। সূত্রের খবর তেমনই।
আরও পড়ুন, State Education Policy: নয়া শিক্ষানীতিতে ক্লাস ওয়ান থেকেই বাধ্যতামূলক বাংলা? বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের!