বিধানসভার বাজেট অধিবেশন কাটছাঁট ঘিরে বিতর্ক

ঠিক ছিল, অন্তত ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাবেন বিধায়করা। কিন্তু, আচমকাই ৪ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করে ফেলা হচ্ছে বাজেট বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অধিকাংশ বাজেটই পেশ করা হবে না।

Updated By: Jun 30, 2012, 12:34 PM IST

ঠিক ছিল, অন্তত ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাবেন বিধায়করা। কিন্তু, আচমকাই ৪ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করে ফেলা হচ্ছে বাজেট বিতর্ক।
সরকারের সিদ্ধান্ত, এবারের বাজেট অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অধিকাংশ বাজেটই পেশ করা হবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে দানা বেঁধেছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কি এই সিদ্ধান্ত অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের?  
গতবারের বাজেট অধিবেশনে অধিকাংশ বাজেট নিয়েই আলোচনার সুযোগ পাননি বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের একটি বাজেটও বিতর্কের জন্য পেশ করা হয়নি। এবারও সেই পথেই হাঁটতে চলেছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য ছাড়া তাঁর অন্যান্য দফতরের বাজেট, পাঠিয়ে দেওয়া হল গিলোটিনে। কোন কোন দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে না? তালিকাটা বেশ দীর্ঘ-
পার্বত্য পরিষদ-পাহাড় এই মুহূর্তে অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা। কিন্তু, তা নিয়ে আলোচনা সুযোগ পেলেন না বিরোধীরা।

সংখ্যালঘু উন্নয়ন-এখনও পর্যন্ত যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে নেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা এই দফতরও। সংখ্যালঘু নিয়ে কেন আলোচনা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছে সরকার তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
পরিবহণ দফতর-গত একবছর ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মদন মিত্রের হাতে থাকা এই দফতর। অসংখ্যা সমস্যা। সে কারণেই কি আলোচনা ছাড়াই বাজেট পাঠানো হল গিলোটিনে?
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর-এই দফতরটিও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। এবারের বাজেটেও প্রচুর টাকা বাড়ানো হয়েছে এই দফতরের বাজেটে। কিন্তু, তাও পাঠিয়ে দেওয়া হল গিলোটিনে।
এখনও পর্যন্ত আলোচনার তালিকায় নেই পূর্ত দফতর। তবে, শেষ মুহূর্তে তা যুক্ত হলেও হতে পারে।
বেশ কিছু দফতরের বাজেট প্রতিবারই আলোচনার সুযোগ না পেয়ে গিলোটিনে যায়, এটাই রেওয়াজ। কিন্তু, সাধারণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে বাম জমানায় আলোচনা হতো। এবার, স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য ছাড়া, সবটাই গিলোটিনের আওতায়।

কিন্তু কেন আচমকাই কমিয়ে দেওয়া হয় বিধানসভার মেয়াদ?
জল্পনায় তিনটি কারণ উঠে আসছে-
১. মু্খ্যমন্ত্রী খুব একটা সময় দিতে পারেন না বিধানসভায়। যে কারণে বারবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে।
২.বাজেট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলে অনেক দফতরের কাজকর্ম নিয়েই বিতর্কের মুখে পড়তে হত সরকারকে।
৩. প্রণব মুখোপাধ্যয় এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর জেরে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় বিধানসভার অধিবেশন এড়াতে সক্রিয় হয়েছে প্রধান শাসক দল।

.