নেতারা চুপ, মার খাচ্ছে নীচুতলার কর্মীরা, দলেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, দিশেহারা দশা বিজেপির
একদিকে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তো অন্য দিকে আরএসএসের চাপ। দলের নীচু তলার কর্মীরা যখন প্রতিদিন তৃণমূলের মার খাচ্ছে, তখনই ওপর তলায় নীরবতা। কী করবেন বিজেপি কর্মীরা? কর্মীদের কি নির্দেশই বা দেবেন রাজ্য নেতৃত্ব? রীতিমতো দিশেহারা দশা বিজেপির।
ওয়েব ডেস্ক: একদিকে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তো অন্য দিকে আরএসএসের চাপ। দলের নীচু তলার কর্মীরা যখন প্রতিদিন তৃণমূলের মার খাচ্ছে, তখনই ওপর তলায় নীরবতা। কী করবেন বিজেপি কর্মীরা? কর্মীদের কি নির্দেশই বা দেবেন রাজ্য নেতৃত্ব? রীতিমতো দিশেহারা দশা বিজেপির।
বীরভূমে মার খাচ্ছে দলের কর্মীরা। ঠিক তখনই রাজ্যে এলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। তবে একবারের জন্যও তৃণমূল নিয়ে মুখ খুললেন না অমিত শাহ।
মিডিয়াতে নীরবতা যে এভাবে ফাঁস হয়ে যাবে কল্পনায় বিজেপি নেতাদের। এমনকী ভাবতে পারেননি অমিত শাহও। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরের দিনই আসরে নামেন কৈলাস বিজয় বর্গীয়, সিদ্ধার্থ নাথ সিং, রাহুল সিনহারা। তার পরেও আশ্বস্ত নন নীচু তলার কর্মীরা।
হতাশ কর্মীরা। সারদা ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যে আন্দোলনের মূল স্রোতে এসেছিল বিজেপি। কিন্তু এখন সে তদন্তের অগ্রগতি সেভাবে চোখে পড়ছে না। উল্টে হাসি মুখে এক ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে মোদী মমতাকে। আর এতে কর্মীদের বাড়ছে হতাশা। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপিতে ইদানিং আর অন্য দল থেকে লোক আসছে না। এখনও তৈরি হয়নি বুথ ভিত্তিক সংগঠন। জেলায় জেলায় অমিত শাহ সফরও বাতিল হয়ে গিয়েছে। তার উপরে বিধানসভা নয় লোকসভাকে টার্গেট করছে নেতৃত্ব।
কোন পথে যাচ্ছে বিজেপি? তা বুঝতে পারছেন না রাজ্য পদ্ম শিবিরের অনেকেই। আর এ সবের উপরে আছে আরএসএসের চাপ। রাজ্য নেতৃত্বে পরিবর্তন চাইছে সংঘ পরিবার। দলের মধ্যে কোনঠাসা রাহুল সিনহা গোষ্ঠী। নিয়মিত রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। মিটিং হচ্ছে। গরম গরম বিবৃতিও দিচ্ছে না তাঁরা। রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে আদতে এসবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।