KMC Election: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে 'না' হাইকোর্টের; ভোট লুঠ হলে রাজ্যজুড়ে প্রতিক্রিয়া হবে: Suvendu
সিঙ্গুরে ধর্নাস্থলে কৃষকদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'হাইকোর্ট দায়িত্বটা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দিল। এখন সেনা নামাক, আধা সামরিক বাহিনী নামাক আর সিভিক ভলান্টিয়ার নামাক, অবাধ করানোর দায়িত্ব ওদের। করতে পারবে বলে আমাদের ভরসা নেই'। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ হওয়ার পর বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'ভোট লুঠ হলে রাজ্যজুড়ে প্রতিক্রিয়া হবে। কেউ আক্রান্ত হলে প্রতিক্রিয়া হবে। কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে'।
দুয়ারে পুরভোট (KMC Election)। শেষবেলায় যখন জোরকদমে প্রচার চলছে শহরে, তখন কলকাতা পুরসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি (BJP)। কিন্তু সেই মামলাটি ফিরিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন মামলার শুনানি হল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি কিন্তু খারিজ করে দিল আদালত।
কেন? হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের মতে, 'বিজেপির যে চারজন প্রার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন যে তাদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগের পরে পুলিস যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে যে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য একজন করে সশস্ত্র পুলিস মতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য কোর্টে পেশ করেছে তাতে আদালত মনে করছে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই'। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছে গেরুয়াশিবির। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুন: 'পুলিসের কাছেই মহিলারা সুরক্ষিত নন', বললেন Dilip
এদিকে সিঙ্গুরে বিজেপির ধর্না কর্মসূচি ৩ দিনে পড়ল। এদিন সকালে কলকাতায় পুরভোটের প্রচার করেন শুভেন্দু। দুপুরে সভা করেন সিঙ্গুরে। এমনকী, সভাশেষে ধর্নাস্থলেই কৃষকদের সঙ্গে রীতিমতো পাত পেড়ে মধ্য়াহ্নভোজ করতেও দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্তু মজুমদার-সহ দলের অন্য নেতানেত্রীরাও।