BJP | Sukanta Majumdar: ‘আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে ওদের সরকার পড়ে যাবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি শান্তনু ঠাকুরের
পঞ্চায়েতের ফলে রাজ্য বিজেপি ও বাংলার মানুষকে ইতিমধ্যেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নাড্ডা, অমিত শাহেরা। আগামীদিনে দলের আভ্যন্তরীণ ত্রুটি বিচ্যুতি কাটিয়ে লোকসভার জন্য দলকে প্রস্তুত করাই বৈঠকের অন্যতম অ্যাজেণ্ডা। পাশাপাশি আগামী মাসে অমিত শাহের সফরসূচি ঠিক করা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। এরই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির ৩৫৫র জোরাল দাবীর প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েতের ফল বিশ্লেষণ ও রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্বান্ত নিতে রবিবার বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক বেলা ১২টা থেকে। পাশাপাশি লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে প্রচার ও সাংগঠনিক শক্তির পর্যালোচনা হবে বৈঠকে। সল্টলেকের বিজেপি দফতরে বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও রাজ্যে নিযুক্ত বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে, আশা লাকড়া, অমিত মালব্যরা থাকবেন।
পঞ্চায়েতের ফলে রাজ্য বিজেপি ও বাংলার মানুষকে ইতিমধ্যেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নাড্ডা, অমিত শাহেরা। আগামীদিনে দলের আভ্যন্তরীণ ত্রুটি বিচ্যুতি কাটিয়ে লোকসভার জন্য দলকে প্রস্তুত করাই বৈঠকের অন্যতম অ্যাজেণ্ডা। পাশাপাশি আগামী মাসে অমিত শাহের সফরসূচি ঠিক করা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। এরই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির ৩৫৫র জোরাল দাবীর প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
এর আগেই ট্যুইটারে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে ভোটের আগের রাত থেকে ব্যালট বাক্স খুলে ছাপ্পা, ভোটের দিন সন্ত্রাস করে ছাপ্পা, বৈধ ব্যালট লুঠ করে ফেলে দেওয়া, গণনাকেন্দ্রে বিডিও সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের সাহায্যে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানোর ঘটনা তো ছিলোই। বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সাহেব নতুনত্ব যোগ করলেন ~ "গণনাকেন্দ্র থেকে Memory Card সহ আস্ত CCTV ক্যামেরা উধাও এর অভিযোগ"। বিডিও সাহেবের গলায় অনৈতিক কাজগুলো কাঁটার মতো বিঁধে গেছে, না পারছেন গিলতে না পারছেন বার করতে। আইনের নজর থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতেই CCTV উধাও করে দেওয়া হলো না তো ? পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে প্রত্যেকটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আমরা মহামান্য উচ্চ আদালতের নজরে আনবো এবং এর বিরূদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো’।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে ভোটের আগের রাত থেকে ব্যালট বাক্স খুলে ছাপ্পা, ভোটের দিন সন্ত্রাস করে ছাপ্পা, বৈধ ব্যালট লুঠ করে ফেলে দেওয়া, গণনাকেন্দ্রে বিডিও সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের সাহায্যে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানোর ঘটনা তো ছিলোই। pic.twitter.com/Nobwqvr6x7
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) July 16, 2023
পাশপাশি ‘বিডিওকে দেখে নেব’, বিজেপির ধিক্কার মিছিল থেকে হুংকার গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে SDO, BDO এবং OC এর উদ্যোগে ভোট চুরি, ভোট লুঠ, ভোট ছিনতাই হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে এবং পুনরায় ভোটের দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি।
এদিন ঠাকুরনগর রেল পার্কিং থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিল ঠাকুরনগর বাজার ও তার পাশ্ববর্তী এলাকা ঘুরে রেল পার্কিং-এ শেষ হয়। এই মিছিলে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাঁটেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা হাতে চুরি পরে নেই। পুলিস প্রশাসন কয়টা দিন। পুলিসের আঁচলের নিচে থেকে এসপি, বিডিও-কে ঢাল করে কত দিন চলবে তৃণমূলের এই গুণ্ডাগিরি আমরাও দেখবো’।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই বিডিওকে আমরা দেখে নেব। তবে কিভাবে দেখবেন তা তিনি খোলাসা করেননি’।
আরও পড়ুন: Hilsa: ক'দিন পরেই ইলিশময় বাজার! জেনে নিন কবে, কত দামে পাবেন মরসুমের প্রথম রুপোলি শস্য...
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, ‘গাইঘাটায় এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তারা যেভাবে হেরেছে তার থেকে মুখ রক্ষা করার জন্য এই সব বলছেন’।
একই সঙ্গে, ‘আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে ওদের সরকার পড়ে যাবে’, তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বললেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ।
তিনি বলেন, ‘এরা (তৃণমূল) ভেবে নিয়েছে এরা চিরস্থায়ী। কখনই এরা চিরস্থায়ী নয়। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এদের সরকার পড়ে যাবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলে যাচ্ছি’।
এমনই ভবিষ্যৎ বাণি করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটার ফুলশড়া পাঁচপোতায় এলাকায় পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সম্বোধনা দেওয়ার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি রামপদ দাস সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা।
এই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আমরা যা ভোট পেয়েছি তার থেকে দশ গুন ভোট বেশি পাওয়ার কথা ছিল। যদি এরা রাহাজানি না করত’।
এই বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের ধস থেকে আর ফেরবার কোনও রাস্তা নেই। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এই সব বলে ভেসে থাকতে চাইছে’।