এক কদম এগিয়ে বাংলায় এবার 'কামান দাগা'র পরামর্শ বিজেপি নেতা সায়ন্তনের
সায়ন্তন বসুর সাফ হুঁশিয়ারি, "যে পুলিস অফিসারদের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিজেপি সরকারে এসে তাঁদের দেখে নেবে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো' স্লোগানে কোনও ভুল খুঁজে পাচ্ছেন না বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এই স্লোগানে কোনও অন্যায় দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। বরং এক ধাপ এগিয়ে তাঁর দাবি, "গোলিতে কাজ না হলে গদ্দারদের বিরুদ্ধে কামান দাগাও।" পাশাপাশি সায়ন্তন বসুর স্পষ্ট বক্তব্য, ধৃত বিজেপি কর্মীদের পাশে আছে দল। বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন তিনি। সায়ন্তন বসুর সাফ হুঁশিয়ারি, "যে পুলিস অফিসারদের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিজেপি সরকারে এসে তাঁদের দেখে নেবে।" একইসঙ্গে এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বিজেপি উচ্চ আদালতে যাবে বলেও জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু।
প্রসঙ্গত, রবিবার শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় 'গোলি মারো' স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলা চত্বরে। শহরের রাজপথে উস্কানিমূলক মন্তব্যের ঘটনায় সক্রিয় হয় পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় ৩ জনকে। তারপরই রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, ধ্রুব বসু ও পঙ্কজ প্রসাদ নামে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে রাতেই নিউ মার্কেট থানায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫৩-A (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরিতে উস্কানি দেওয়া), ৫০৫ (কোনও সম্প্রদায়কে হুমকি দেওয়া), ৫০৬ (কোনও ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া) এবং ৩৪ (সমবেত ভাবে অপরাধ করা)- এই ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
এদিন ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত ৩ জনই পদ্ম শিবিরের আইনজীবী সেলের সদস্য। অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন বিজেপি সেলের প্রায় ৩০ জন আইনজীবী। ধৃতদের জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানিয়ে তাঁরা দাবি করেন, শুধমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুলি করার কথা কাউকে উদ্দেশ করে বলা হয়নি। নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করেও বলেননি অভিযুক্তরা। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল হয়। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, এটা দিল্লি নয়, কলকাতা, 'গোলি মারো' স্লোগানে নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে পাল্টা অ্যাটাক মমতার
আরও পড়ুন, পুরভোট বা বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির ভরসা মুকুলই, সিলমোহর খোদ শাহের
যার তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে তিনি যুক্তি দেন, অভিযুক্তদের বক্তব্য উসকানিমূলক। এর মাধ্যমে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছিলেন। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাবের পর শর্তসাপেক্ষে ধৃত ধ্রুব বসুর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে ধৃত বাকি ২ বিজেপি কর্মীর জামিন খারিজ করে তাঁদের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।