পুজোর আগে শহর জুড়ে হকারদের ঢালাও লাইসেন্স দেওয়ার পথে পুরসভা

নিষেধ রয়েছে হাইকোর্টের। তবু হকারদের ঢালাও লাইসেন্স দেওয়ার পথে পা বাড়াল পুরসভা। কলকাতার চারটি জায়গায় রীতিমতো শিবির করে শুরু হল ফর্ম বিলি। একি আদালত অবমাননা নয়? মানতে নারাজ পুরমন্ত্রী ও মেয়র। 

Updated By: Sep 4, 2015, 08:36 PM IST
পুজোর আগে শহর জুড়ে হকারদের ঢালাও লাইসেন্স দেওয়ার পথে পুরসভা

ব্যুরো: নিষেধ রয়েছে হাইকোর্টের। তবু হকারদের ঢালাও লাইসেন্স দেওয়ার পথে পা বাড়াল পুরসভা। কলকাতার চারটি জায়গায় রীতিমতো শিবির করে শুরু হল ফর্ম বিলি। একি আদালত অবমাননা নয়? মানতে নারাজ পুরমন্ত্রী ও মেয়র। 
পুরভোটের ঠিক আগে এটাই ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা। তাতে রাজনৈতিক দিক দিয়ে তৃণমূল লাভবান হয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু, আইনি দিকটা ভাবা হয়েছিল কি? হয়নি। তাই ভোট মিটতেই সামনে আসে সেই জটিলতা। হকারদের ঢালাও লাইসেন্স বিলির বিরোধিতায় হাইকোর্টে যায় টাউন ভেন্ডিং কমিটি, সংক্ষেপে TVC। 

টাউন ভেন্ডিং কমিটির দাবি, শহরে কোথায়-কত হকার বসতে পারে তা ঠিক করা তাদের এক্তিয়ারভুক্ত। কিন্তু, কলকাতা পুরসভা TVC-র সঙ্গে কোনও পরামর্শই করেনি বলে অভিযোগ
পুরসভা নিজস্ব পুর কমিটি গঠন করে হকারদের লাইসেন্স বিলির প্রক্রিয়া শুরু করে বলে অভিযোগ TVC-র হাইকোর্টও রায় দেয়, সার্বিক সমীক্ষা না চালিয়ে এভাবে ঢালাও লাইসেন্স বিলি করতে পারে না কলকাতা পুরসভা

হাইকোর্টের নির্দেশেও অবশ্য পিছু হঠেনি পুরসভা। বরং, রাসবিহারী, কালীঘাট, গড়িয়াহাট ও ধর্মতলায় শিবির করে জোরকদমে শুরু হয়েছে ফর্ম বিলি। 

পুরমন্ত্রীর আবার যুক্তি দিচ্ছেন, লাইলেন্স বিলিতে বিধিনিষেধ রয়েছে, কিন্তু, ফর্ম বিলিতে বাধা কীসের? 

আইনি বাধা হয়তো নেই। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে উপযুক্ত সমীক্ষা ছাড়াই এভাবে ফর্ম বিলি করে লাভটা কী হবে? 

বিরোধীদের অভিযোগ, ফর্ম বিলিতেও রয়েছে রাজনীতির অঙ্ক। নবান্ন অভিযান ও সাধারণ ধর্মঘটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে বামেরা। তাই হকার ভোটব্যাঙ্ককে নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিয়ে নারাজ শাসক দল। বিধানসভা ভোটের আগে ফর্ম বিলি করে তাই তাদের আশা জিইয়ে রাখার চেষ্টাই করছে সরকার। 

.