কলকাতায় স্কিমিংয়ের জালে ৬০০ গ্রাহক!
রবিবারই কসবার বকুলতলা মোড়ে এক এটিএম-এ একটি ডিভাইস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে । সেটিকে স্কিমার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা পুলিসকে ভাবিয়ে তুলেছে স্কিমিং চক্র। রবিবারই কসবার বকুলতলা মোড়ে একটি এটিএম-এ একটি ডিভাইস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে । সেটিকে স্কিমার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এরমধ্যেই আরও চিন্তার কারণ রয়েছে এটিএম ব্যবহারকারীদের।
শহরের কমপক্ষে ৬০০ গ্রাহক যারা এপিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে গোলপার্কের কানাড়া ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করেছিলেন তাদের আতঙ্ক এখনই কাটছে না। এদের অ্যাকাউন্ট স্কিমিং হতে পারে বলে সন্দেহ। এমনটাই দাবি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের।
কানাড়া ব্যাঙ্ক ছাড়াও পার্ক স্ট্রিটের পাঞ্জাব অ্যান্ড ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও এলগিন রোডের কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এটিএম থেকেও যারা টাকা তুলেছিলেন তাদের সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে কানাড়া ব্যাঙ্কের ২৭৫ গ্রাহকদের ডেবিট কার্ডের তথ্য পাচার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪২ জন টাকা খুইয়েছেন বলে খবর। সবেমিলিয়ে ওই তিন ব্যাঙ্কের ৬০০ বেশি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেহ করা হচ্ছে কানাড়া ব্যাঙ্কের এটিএম স্কিমিং করা হয়েছে এপ্রিলে।
উল্লেখ্য, গ্রাহকদের ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি করার জন্য এটিএমের কিপ্যাডের ওপরে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে একটি ডিভাইস। সেখানে লাগানো থাকছে একটি ক্যামেরা ও মাইক্রো চিপ। গ্রাহকদের দেওয়া পাসওয়ার্ড চলে যাচ্ছে জালিয়াতি চক্রের হাতে। সেই তথ্য নিয়ে চলেছে টাকা চুরি। এই জালিয়াতির তদন্ত করতে গিয়ে ধরা পড়েছে রোমানিয়ার ২ নাগরিক।
আরও পড়ুন-দেশের যে কোনও জায়গা থেকে দেওয়া যাবে ভোট, নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কমিশন
এদিকে, স্কিমিংকাণ্ডে দুই রোমানিয় নাগরিককে জেরা করে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের বক্তব্য, জালিয়াতি করে টাকা তোলার জন্য তাদের ১৫-২০ শতাংশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ জালিয়াতির পেছনে রয়েছে তৃতীয় কোনও মাথা।