মমতা দেখেছন মানবাধিকার কমিশনের মর্যাদা, কিন্তু তারই সুপারিশ মানেনি রাজ্য
Ashhok ganguly follow up
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল। তাদের বক্তব্য মানবাধিকার কমিশনের মতো একটি সম্মানীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের থাকার অধিকার নেই। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, মানবাধিকার কমিশন যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হয়, তাহলে কেন কমিশনের একের পর এক সুপারিশে কর্ণপাত করেনি রাজ্য?
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল। অপসারণ চেয়ে দু- দু`বার মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। দিল্লিতে ধরনায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভায় অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবি তুলেছে তারা। তৃণমূল এবং সরকারের বক্তব্য মানবাধিকার কমিশনের মতো একটি সম্মানীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের থাকার অধিকার নেই কারণ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু রাজ্যের আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কমিশন যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে কেন কমিশনের একের পর এক সুপারিশে কর্ণপাত করেনি রাজ্য ?
শাসক দল ও সরকার এখন বলছেন মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্বের কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মানবাধিকার কমিশনকে তুলোধনা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন সরকারের এই দ্বিচারিতা? আইনজীবী মহলের দাবি বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিপক্ষে রায় দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। ফলে সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরী হয়েছে কমিশনের।
মানবাধিকার কমিশনের রায় ছিল বেলপাহাড়ির কৃষক শিলাদিত্য চৌধুরীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে সরকার। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দুলক্ষ টাকা। সেই ক্ষতিপূরণ এখনও দেয়নি সরকার। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কার্টুন বন্ধুমহলে ফরওয়ার্ড করার অপরাধে জেলে যেতে হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। মানবাধিকার কমিশনের রায় ছিল অধিকার হরন হয়েছে অম্বিকেশের। ক্ষতিপূরণ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়নি রাজ্য।
আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিস হেফাজতে মৃত্যু হয় এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর। এক্ষেত্রেও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে রায় দেয় কমিশন। ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ এখনও দেয়নি সরকার।