পুলিসকে মদ খাইয়ে পালাল বন্দি
পাহারায় থাকা পুলিসকর্মীকে আকণ্ঠ মদ খাইয়ে হাসপাতাল থেকে পালাল এক বিচারাধীন বন্দি। পুলিসকর্মী বেহুঁশ হয়ে পড়লে শৌচালয়ের জানলা ভেঙে চম্পট দেয় ওই বন্দি। রবিবার ভরদুপুরে ঘটনাটি ঘটে খাস কলকাতারই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে।
পাহারায় থাকা পুলিসকর্মীকে আকণ্ঠ মদ খাইয়ে হাসপাতাল থেকে পালাল এক বিচারাধীন বন্দি। পুলিসকর্মী বেহুঁশ হয়ে পড়লে শৌচালয়ের জানলা ভেঙে চম্পট দেয় ওই বন্দি। রবিবার ভরদুপুরে ঘটনাটি ঘটে খাস কলকাতারই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে।
গত তেসরা এপ্রিল কাঁধে লাগানো প্লেট খুলতে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকের অর্থোপেডিক বিভাগে আনা হয় শাহজাদাকে। তারপর থেকেই পালানোর ছক কষছিল ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত শাহজাদা। অবশেষে রবিবার মেলে সুযোগ। স্নান করতে যাবে বলে বাথরুমে ঢোকে শাহজাদা। এরপর বাথরুমে রাখা টুলে উঠে জানলা ভেঙে চম্পট দেয় । অভিযোগ, তার আগে পাহারায় থাকা পুলিসকর্মীকে আকণ্ঠ মদ্যপান করায় শাহজাদা।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই পুলিসকর্মীকে। প্রশ্ন উঠেছে এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে একজন বিচারাধীন বন্দির কাছে মদ এল কোথা থেকে? কোথায় বসেই বা ওই পুলিসকর্মী এবং শাহজাদা মদ্যপান করলেন? কেন এতবড় হাসপাতালে কারও তা চোখে পড়ল না? এসএসকেএমের সুপার অবশ্য মদ্যপানের অভিযোগ মানতে নারাজ।
প্রশ্ন আরও উঠছে, বাথরুমে টুলই বা এল কোথা থেকে? সবার অলক্ষ্যে শাহজাদাই যদি তা এনে থাকে, কেউ তা খেয়াল করল না কেন? যেখানে বিচারাধীন বন্দিদের চিকিত্সা হয় সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত ঢিলেঢালা কেন? ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিসকর্তারা।