ছাড়া পেলেন হাজরা থেকে আটক বিক্ষোভকারীরা
চব্বিশ ঘন্টার খবরের জের। দিনভর টানাপোড়েনের পর অবশেষে গভীর রাতে হাজরা থেকে আটক করা ২৫ জন বিক্ষোভকারীকে ছেড়ে দিল পুলিস। গতকাল সকালে হাজরা মোড় থেকে এক মহিলা সহ মোট ২৫ ধর্মঘট সমর্থককে আটক করে পুলিস।
চব্বিশ ঘন্টার খবরের জের। দিনভর টানাপোড়েনের পর অবশেষে গভীর রাতে হাজরা থেকে আটক করা ২৫ জন বিক্ষোভকারীকে ছেড়ে দিল পুলিস। গতকাল সকালে হাজরা মোড় থেকে এক মহিলা সহ মোট ২৫ ধর্মঘট সমর্থককে আটক করে পুলিস।
বুধবার সকাল ১০: ৩০-
রাসবিহারি মোড় থেকে ধর্মঘটীদের একটি মিছিল যাচ্ছিল ভবানীপুরে। হাজরা মোড়ে মিছিল পৌঁছয়। সেই সময় হাজরা মোড় দিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। উপস্থিত পুলিসকর্মীদের মিছিল সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সকাল ১০: ৪৪-
আচমকা বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি চালায় পুলিস। আটক করা হয় এক মহিলা সহ ২৫ জনকে। এরপর শুরু হয় টানাপোড়েন। নিয়ম অনুযায়ী এইসব ক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজনদের বলা হয় ভবানীপুর অথবা কালিঘাট থানায় যোগাযোগ করতে। সেখানকার আধিকারিকরা দায় চাপিয়ে দেন লালবাজারের ওপরই। পেরিয়ে যায় তিন-চার ঘন্টা। বিক্ষোভকারীদের কোনও খবর না পেয়ে স্থানীয় থানায় মিসিং ডায়েরি করতে যান বিক্ষোভকারীদের পরিবার পরিজন। কিন্তু, মিসিং ডায়েরি নিতেও অস্বীকার করে পুলিস।
রাত ১০: ৩০-
প্রায় বারো ঘন্টা টানাপোড়েনের পর শেষপর্যন্ত রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মেমো অব অ্যারেস্ট দেখিয়ে লালবাজার থেকে বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দেয় পুলিস। কিন্তু, কেন দিনভর বিক্ষোভকারীদের অবস্থান নিয়ে এই টানাপোড়েন, কেনই বা অভিভাবকদের এই হেনস্থা। আটকের পর ২৫ জন বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার দেখাতে কেনই বা বারো ঘণ্টা সময় লাগল পুলিসের। উত্তর মেলেনি কোন প্রশ্নেরই।